শ্রীরামপুর, 5 ডিসেম্বর : যুবতির মৃতদেহে অপারেশনের কাটা দাগ নিয়ে সন্দেহ পরিবারের । রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ আত্মীয়ের । শ্রীরামপুর আদালত সঠিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দিল উত্তরপাড়া থানার পুলিশকে ।
ঘটনাটি হিন্দমোটর এলাকার । মৃতের নাম মৌমিতা চক্রবর্তী । গতকাল সকালে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মৌমিতার । মৃতদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । বাড়িতে নিয়ে আসার পর পরিবারের লোকজন দেখে তলপেটে দুটি কাটা দাগ রয়েছে । তা দেখেই সন্দেহ হয় পরিবারের । তবে হাসপাতালে মৌমিতার কী অপারেশন করা হয়েছে তা জানতে পারে না । অপারেশনের ব্যাপারে কোনও কিছু জানা নেই পরিবারের ।
আর তাই মৌমিতার মৃত্যুর পিছনে রয়েছে কী রহস্য আছে সেটাই জানতে চায় পরিবার । তাই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে দেখা হোক মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী । এই আবেদন নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় যায় মৃতার পরিবার । পরে থানা জানিয়ে দেয় স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার অধিকার নেই তাঁদের । আদালতে আবেদন জানাতেও পরামর্শ দেয় পুলিশ ।
এরপরই আজ শ্রীরামপুর আদালতে মৌমিতার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পিটিশন দাখিল করা হয় । আদালত সমস্ত কাগজপত্র দেখে উত্তরপাড়া থানাকে নির্দেশ দেয় সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে । আপাতত মৌমিতার মৃতদেহ উত্তরপাড়া মহামায়া হাসপাতালে রাখা হয়েছে । ময়নাতদন্তে পরিষ্কার হবে কী কারণে পেট কাটা হয়েছিল । কেনই বা পরিবারকে জানানো হয়নি ।
মৃতার বাবা ধ্রুব কুন্ডু বলেন, "আমি জামাইকে বিশ্বাস করে মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব দিয়েছিলাম । কিন্তু হাওড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই আমার মেয়েকে পেট কেটে অপারেশন করে । কী জন্য করে তার উত্তর নেই । আমরা জানতে চাই কী জন্য করা হল । আমাদের বিচার চাই ।"
কাটা দাগ দেখে সন্দেহ মৃতার পরিবারের, তদন্তের নির্দেশ আদালতের শ্রীরামপুর আদালতের এক আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, "মৌমিতার পরিবার মৃতদেহে যে কাটা দাগ দেখতে পেয়েছে তার জন্য তদন্তের আবেদন জানিয়েছিল আদালতের কাছে । কোভিড রোগী না হওয়া সত্ত্বেও কাটা দাগ হল কী করে সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পরিবার । তাই আদালত রায় দিয়েছেন যাতে সঠিক তদন্তে উঠে আসে সত্য ।"