হুগলি, 28 নভেম্বর: টানা 17 দিনের উৎকণ্ঠা কাটিয়ে অবশেষে জয়ের উচ্ছাস ৷ অন্ধকার জীবন কাটিয়ে আলোর মুখ দেখলেন হুগলির পুরশুড়ার জয়দেব প্রামাণিক ও সৌভিক পাখিরা ৷ সিল্কিয়ারা টানেল থেকে ছেলের উদ্ধার হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই পরিবারে ভাসে আনন্দ জোয়ারে। বেজে ওঠে শঙ্খধ্বনি ৷ চলে মিষ্টিমুখের পালাও ৷
জয়দেবের বাবা তাপস প্রামাণিক বলেন, "সরকার ও যে সকল শ্রমিকরা দিন-রাত এক করে আমাদের ছেলেকে উদ্ধার করেছে, তাঁদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। সুস্থ ভাবে যে ছেলেকে টানেলের ভিতর থেকে ফিরিয়ে এনেছে, তাতে আমরা খুশি। আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই ৷ তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে আসুক জয়দেব।"
সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরার মুখে এতদিন পর মুখে হাসি ফুটেছে ৷ তিনি বলেন, "ছেলে ছবি পাঠিয়েছে। আমি খুশি । আমি সৌভিককে গর্ভে ধরেছি তাতে গর্বে আমরা বুক ভরে গিয়েছে। যেন মনে হচ্ছে বিশ্বজয় করেছে সে। তারকেশ্বর বাবার কাছে আমি পুজো দেব। আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে তারকনাথ। মনে হচ্ছে আর যেন ছেলেকে না পাঠাই। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। ছেলে ফিরলে আরও খুশি হব।"
উত্তরককাশীর টানেলে আটকে পড়া 41 জন কর্মী মঙ্গলবার সকল বাধা-বিপত্তি পেড়িয়ে বেরিয়ে আসতেই গোটা দেশ আনন্দে সামিল হয় ৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর সৌভিকের সঙ্গে 15 মিনিট কথা বলেন মা লক্ষ্মী পাখিরা। অপরদিকে জয়দেবের উদ্ধারের কথা শুনে উচ্ছসিত হয়ে পড়েন বাবা তাপস প্রামাণিক। ভিড় জমান প্রতিবেশীরাও ৷ আনন্দ উচ্ছ্বাসে ফাটানো হচ্ছে বাজি। চলে মিষ্টিমুখ ৷ জয়দেবের পরিবারে সঙ্গে আনন্দে সামিল হন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।