দাদপুর (হুগলি), 16 জুলাই:দিনকয়েক আগেসমকামী বিয়ের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা ৷ বহুদিনের সঙ্গী চৈতন্য শর্মার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন প্রখ্যাত কস্টিউম ডিজাইনার অভিষেক রায় । দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই চার হাত এক হয়েছে যুগলের । ঠিক তার ক'দিন পরেই দেখা মিলল উলটো ছবির । ঝুম্পা এবং সাথী, দুই যুবতীর প্রেম ৷ অন্যদিকে সমকামী সম্পর্ক মানতে নারাজ তাঁদের পরিবার (Family against Homosexual Love of two young Girls in Hooghly) ৷
বিশেষত, অভিযোগের তীর ঝুম্পার পরিবারের দিকেই ৷ সাথীকে তাঁরা মারধর করে বলেও অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সাঠিথান গ্রামপঞ্চায়েতের নাগবোল গ্রামে ৷ দু’জনেই দাদপুর থানা ও গুপ্তিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ তাঁদের সম্পর্ক আইন স্বীকৃত হলেও, ঝুম্পার পরিবার কোনওমতেই তা মেনে নিতে নারাজ ৷ ঝুম্পার মানসিক চিকিৎসা করাবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা ৷ ৷ ঝুম্পার বাবা সোনা রায় বলেন, ‘‘আমি এই বিয়ে মানি না ৷ আমি মেয়েকে যেতে দেব না ৷ প্রথমে বুঝতে পারিনি ৷ ভাবতাম বন্ধুর মতো ৷ মেয়ের সঙ্গে থাকত ৷ ও ভুল পথে যাচ্ছে ৷ আমি মেয়েকে রেখে সুস্থ করব ৷ পরে চিন্তাভাবনা করা যাবে ৷’’
হুগলির ধনিয়াখালি ব্লকের নাগবোল গ্রামের বাসিন্দা ঝুম্পা ঢালি এবং বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা সাথী বাগ ৷ সোশাল মিডিয়ায় দু’জনের পরিচয় ৷ সেখান থেকেই দুই যুবতীর প্রেমের শুরু ৷ তবে, এর আগে ঝুম্পা এবং সাথীর অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল ৷ সাথী এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেরই অমতে বাড়ি থেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ ফলে তাঁদের সম্পর্ক আগেই ভেঙে যায় ৷ যদিও ঝুম্পার বিয়ের পর একটি সন্তানও হয় ৷ কিন্তু, বছরখানেক আগে তাঁরও বিয়ে ভেঙে যায় ৷ তারপর থেকেই বাপের বাড়িতে থাকতেন দু'জনে ৷ সেই সময়েই সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে প্রেম, কয়েকমাস আগে ব্যারাকপুরে দু’জনে বিয়েও করেন ৷ এক সঙ্গেই থাকছিলেন দুই প্রেমী ৷