চন্দননগর, 14 সেপ্টেম্বর: চন্দননগর হাসপাতালে রোগীদের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়ার ঘটনায় সরব বিজেপির। সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তাতে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন। তিনি লেখেন, "চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে ৷ এর কারণে মানুষের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার দায় কে নেবে?"এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সরকারি হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট থাকা সত্ত্বেও ওষুধের কাউন্টার থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে দেওয়া হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীদের আত্মীয় থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। তবে তৃণমূলের দাবি, কোনও ঘটনা হলে অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এনিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার রোগীর এক আত্মীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ কেনেন। এরপর ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনাটি সামনে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাসপাতাল সুপার।
কী কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্টও পাঠানো হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চন্দননগর হাসপাতাল রোগীকে কীভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিতে পারে। এ বিষয়ে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুইয়াঁ বলেন, "এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতাল সুপার ফার্মাসিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এটা নজর এড়িয়ে কীভাবে হল সেটার জন্য তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।রাজ্যে একটি রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস অন্তর ওষুধের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়। এরজন্য হিসেবও রাখতে হয় ৷"