হুগলি, 22 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে ভিন জেলা থেকে মৌ পালকরা না আসায় ফলন কমেছে তরমুজের ।এবার চাষের খরচও উঠবে না বলে দাবি, ধনিয়াখালির তরমুজ চাষিদের।তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে মৌমাছি।তরমুজের ফুল ফোটার পর সেই ফুলের মেয়াদ দশ থেকে বারো ঘণ্টা।এই সময়ের মধ্যে পরাগ সংযোগ না ঘটালে পরাগ মিলনের ক্ষমতা হারায় সেই ফুল।আম তিল সহ বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করতে দুই 24 পরগনা সহ নদিয়া,মুর্শিদাবাদ থেকে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় এই সময় মৌমাছি নিয়ে আসেন মৌ পালকরা।
হুগলির ধনিয়াখালিতে প্রচুর তিল চাষ হয়।সেই তিলের মধু সংগ্রহে বাক্স নিয়ে হাজির হন মৌ-পালকরা।মৌমাছি থাকায় তরমুজ চাষে উৎসাহী হন ধনিয়াখালির চাষিরা।তবে এবারে লকডাউনের জেরে মৌ পালকরা না আসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তরমুজ চাষে।যেখানে বিঘা প্রতি ফলন হত তিন কুইন্টালের উপর, সেখানে এবারে ফলন প্রায় অর্ধেক।
ধনেখালি ব্লকে গরমের মরশুমে প্রায় দুশো একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়ে থাকে।আলু ওঠার পরই অনেকেই তিলের চাষ করেন।বেশ কয়েক বছর ধরে বিকল্প চাষ হিসাবে তরমুজ চাষ করছেন বহু চাষি। অন্য দিকে লকডাউনের জেরে কীটনাশক পেতেও অসুবিধা হচ্ছে।জমিতে কীটনাশক না দেওয়ার ফলে তরমুজে বেড়েছে পোঁকার উপদ্রপ।ফলনে প্রভাব পড়েছে তারও।কৃষি গবেষকরাও বলছেন, চাষিদের দাবি অমূলক নয়।যেকোনও ফুল থেকে ফল তৈরি হতে পরাগ মিলন জরুরি।