হুগলি, 22 সেপ্টেম্বর: জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৷ অজানা জ্বরের মৃত্যু থেকে বাদ পড়ছেন না স্বাস্থ্য কর্মীরাও ৷ শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বছর তেইশের এক নার্স বিম মিত্র ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন । বুধবার শ্রীরামপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও ডেঙ্গি পরীক্ষায় এনএস-1 নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু যেভাবে জেলায় ডেঙ্গি ও অজানা জ্বরের আতঙ্ক বাড়ছে তাতে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে জেলা স্বাস্থ্যদফতর ও প্রশাসনের (Health Department and Administration) । এ নিয়ে শ্রীরামপুর মহকুমা দফতরে ডেঙ্গি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হয়।
উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, জেলাশাসক পি দীপপ্রিয়া-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে বেশকিছু ডেঙ্গি সচেনতার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে (A Meeting on Dengue was Held at Serampore Sub-Divisional Office)। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিয়ে স্পেশ্যাল ড্রাইভ হবে। যে সব এলাকায় অতিদ্রুত ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে, সেই সব জায়গায় দু'টি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতার অভিযান করতে হবে বলে জানিয়েছেন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
বছর তেইশের এক নার্স বিম মিত্র ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন আরও পড়ুন:চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেন 3 ! সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা পদ্ধতি এনে রাজ্যগুলিকে দিক কেন্দ্র, আর্জি ফিরহাদের
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জানান, অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে নার্সের। জ্বর ছিল তাঁর। ডেঙ্গির রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আরও সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই সময় ডেঙ্গি বাড়ছে। তাই জ্বর হলেই অনেকে মনে করছেন ডেঙ্গি হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গি ছাড়াও এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াও হতে পারে কোভিডও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তাই জ্বর হলে ফেলে রাখা যাবে না। জেলার 18টি ব্লক হাসপাতাল ও 5টি বড় হাসপাতালে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত হুগলি জেলায় 1 হাজার 600 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 400 জন সক্রিয় রোগী হাসপাতালে ভরতি ৷ 200 জন বাড়িতেই চিকিৎসা করাচ্ছেন।
অজানা জ্বরের মৃত্যু নার্সের ডেঙ্গির লার্ভা যাতে না জন্মায় তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে সকলকেই (Dengue Increase Day by Day in Hooghly)। পুজোর আগে আজ অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার থেকে 29 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পুজোর পর 11-18 অক্টোবর পর্যন্ত স্পেশাল ড্রাইভ চালনো হবে। কোথায়, কোথায় দ্রুত ছড়াচ্ছে সেই সব ওয়ার্ড ও গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ মহকুমা ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে 24 ঘণ্টার ল্যাব খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। যাতে 24 ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট ও 4 ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনওরকম গাফিলতি না হয় তার জন্য সকলের সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপি বিধায়কের উদ্বেগ, নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা চাইলেন ফিরহাদ