ডানকুনি, 21 নভেম্বর: বৃদ্ধার মৃত্যুর পরেও করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের মেসেজ এল ফোনে ৷ সঙ্গে কোউইন অ্যাপে শংসাপত্রে নাম ও আধার নম্বর লেখা ৷ যে মেসেজ আসার পর হতবাক মৃত সরস্বতী দাসের পরিবার ৷ আর এই মেসেজের পর বৃদ্ধার ছেলের প্রশ্ন, তাঁর মৃত মা কি সরকারি খাতায় জীবিত ? এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে হুগলির ডানকুনি পৌরসভার 13নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর ৷ তবে, সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তবে, এর সঙ্গে কোনও চক্রের যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন ৷
করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার একমাস পর করোনা আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছিল ডানকুনির 62 বছরের বৃদ্ধা সরস্বতী দাসের ৷ আর তাঁর মৃত্যুর আট মাস পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মেসেজ ও সঙ্গে সংশাপত্রও এসেছে ফোনে ৷ এ বছর 23 মার্চ করোনার প্রথম ডোজ নেন তিনি ৷ কিন্তু, এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনা আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ গতকাল অর্থাৎ, 20 নভেম্বর বৃদ্ধার ছেলের ফোনে মেসেজ আসে সরস্বতী দাসের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ কেন্দ্রের কোউইন ওয়েবসাইট থেকে সংশাপত্র সংগ্রহ করে নেওয়ার কথাও সেই সঙ্গে উল্লেখ ছিল দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনেশনের মেসেজে ৷ সেই মেসেজ দেখে অবাক হন তাঁর ছেলে ৷ নিশ্চিত হতে কোউইন অ্যাপে গিয়ে যাচাই করে তিনি দেখেন সরস্বতী দাসের নাম ও আধার নম্বর রয়েছে দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেটে ৷ আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে পরিবারের ৷ সরকারি খাতায় কী করে একজন মৃতের নাম থাকে ৷
আরও পড়ুন : First Day College: নেই ভ্যাকসিনেশনের শংসাপত্র, আরামবাগে প্রথমদিন কলেজে ঢুকতে পারলেন না বহু পড়ুয়া