Chinsurah Youth Body Recovered: নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে প্রেম ! চুঁচুড়ায় যুবক খুনে অভিযুক্ত প্রেমিকার মা-বাবা

শুক্রবার রাতে হুগলির চুঁচুড়ার এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় (Chinsurah Youth Body Recovered) ৷ অভিযোগ, নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করায় প্রেমিকা মা-বাবা রোহিত রামকে খুন করেছে ৷

চুঁচুড়া (হুগলি), 8 অক্টোবর : কলকাতার হরিদেবপুরের পর এবার হুগলির চুঁচুড়া ৷ প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে প্রাণ গেল আরও এক যুবকের (Chinsurah Youth Body Recovered) ৷ এবার কাঠগড়ায় প্রেমিকার মা ও বাবা ৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতে চুঁচুড়ার একটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় রোহিত রাম নামে এক যুবকের দেহ ৷ যদিও প্রাথমিক ভাবে ওই যুবককে অচৈতন্য বলেই মনে করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা জানান যে রোহিতের মৃত্যু হয়েছে ৷

রোহিত চুঁচুড়ার (Chinsurah) কালীতলার বাসিন্দা ৷ তিনি স্থানীয় একটি আটা কলে কাজ করতেন ৷ শুক্রবার কাজ করতে গিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি ৷ পরে পরিজনরা তাঁর খোঁজ শুরু করলে এই ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে জানতে পারেন ৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে স্থানীয় ঝিঙেপাড়ার বাসিন্দা এক দম্পতির উপর ৷ রোহিতের মা ফুলকুমারী রাম বলেন, ‘‘তাঁরা (ওই দম্পতি) মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক মেনে নেননি ৷ তাই ছেলেটাকে মেরে ফেলল । আমরা বারণ করতাম ছেলেকে মেলামেশা করতে ৷ ও শুনত না ।’’

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন যে আগে বছর দুয়েক আগে রোহিত ঝিঙেপাড়ার একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন ৷ সেই সময় স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷ তার পর প্রেম (Love Affair with Minor Girl) ৷ কিন্তু ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে এই সম্পর্কে মেনে নেওয়া হয়নি ৷ তাই এই নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হত ৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েও যান রোহিত ৷ প্রতিবারই পুলিশের সাহায্যে ফেরত আনা হয় তাঁদের ৷

শেষবার গত সেপ্টেম্বরে প্রেমিকাকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান ৷ বিহারের সমস্তিপুরে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় ৷ সেখান থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয় ৷ রোহিত বাড়ি ফিরলেও নাবালিকা হওয়ায় মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয় ৷ আর সেই নিয়ে রোহিতের উপর রাগ বেড়ে যায় ওই কিশোরীর মা-বাবার ৷ রোহিতকে ঝিঙেপাড়ায় যেতে নিষেধ করেছিলেন তাঁরা ৷

কিন্তু শুক্রবার সেখানেই আবার যান রোহিত ৷ তখন তাঁর উপর ওই মেয়েটির মা ও বাবা চড়াও হন বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ সেখানে কাটারি নিয়ে রোহিতের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে মেয়েটির মাকে ৷ এমনকী, ওই পাড়ায় আবার তাঁকে দেখা গেলে ‘শেষ করে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় ৷ এর জন্য ‘জেল খাটতে’ হলেও ভয় নেই বলে ওই মেয়েটির মাকে বলতে শোনা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে ৷ তবে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷

ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই রোহিতের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ তাই এই ঘটনায় ওই মেয়েটির মা-বাবা জড়িত বলেই অভিযোগ উঠেছে ৷ এদিকে ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মেয়েটির মা ও বাবাকে ৷ রোহিতের আত্মীয়, পরিজন ও প্রতিবেশীদের তরফে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে ৷

কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুঁচুড়া থানা রোহিতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ নেয়নি ৷ তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷