চুঁচুড়ায় পুকুর ভরাট নিয়ে মারমুখী চেয়ারম্যান, ভুল স্বীকার বিধায়কের চুঁচুড়া, 25 ডিসেম্বর: পুকুর ভরাট রুখতে গিয়ে রবিবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল পরিচালিত চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় (Chinsurah MLA Apologizes for Behaviour of Municipality Chairman)। উত্তেজিত হয়ে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে ৷ এই নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার । বৃদ্ধের গায়ে চেয়ারম্যানের হাত দেওয়া উচিত হয়নি বলে জানান তিনি । এমনকী বিষয়টি নিয়ে দলে জানবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি । রবিবার ওই বৃদ্ধের বাড়ি যান বিধায়ক ।
তবে চেয়ারম্যান অমিত রায় ভুল স্বীকারে নারাজ । তাঁর দাবি, তাঁকে গালিগালাজ করার জন্য ঠেলে দেওয়া হয়েছিল এই বৃদ্ধকে ৷ এর সঙ্গে বিজেপি যুক্ত । উনি বিজেপির হয়ে কথা বলছেন বলে পাল্টা আক্রমণ চেয়ারম্যানের ।
এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, বিধায়কের ক্ষমা চাওয়াটা দলের পরম্পরা । অখিল গিরি ভুল করলে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইছে । এখানে চেয়ারম্যান ভুল করলে বিধায়ক ক্ষমা চাইছে । এটা কতদিন চলবে । মানুষের ধৈর্য্য শেষ হয়ে যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন :বাবনানে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও, অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে ৷ হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান জলাশয় ভরাট নিয়ে একটি গণ্ডগোল হয় । চেয়ারম্যান অমিত রায় সেখানে মীমাংসা করতে গিয়ে নিজেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন । তারপরই তাঁকে গালিগালাজ করার জন্য এক বৃদ্ধের গায়ে হাত তোলেন অমিতবাবু । সেই নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর ।
রবিবার পুকুর মালিকের ছেলে অঞ্জন তালুকদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার ৷ এটা ভুল হয়েছে বলে জানান তিনি ৷ এরপরই চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অঞ্জন ও তাঁর পরিবার ।
এই বিষয়ে অঞ্জন তালুকদারের বক্তব্য, পুকুর ভরাট করেননি । তার দাবি এটা পুকুর নয় ডোবা । অনেকদিন ধরে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল বলে ডোবার সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে রাখতে চাইছেন । আমি পৌরসভাকে জানিয়েছি আমার জায়গা ঘিরে নেব । কিন্তু চেয়ারম্যান এসে মারধর করে বাবা মিহির তালুকদারকে ।
যদিও চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন,"আমি গিয়েছিলাম একটা গন্ডগোল হয়েছিল শুনে । আমি শুধু ওনাকে সরিয়ে দিয়েছি মাত্র, মারিনি ৷ বিধায়ক ওখানে ছিলেন না, উনি কি করে জানবেন কি হয়েছে । পরে শুনলাম ওনারা বিজেপি করেন ।বিজেপি বিজেপির মতো বলবে । উনি উনার মতো বলবেন । তাই এতে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপার নেই ।" যদিও বিজেপির অভিযোগ, বিধায়ক নিজেও এর আগে বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন :রাতের অন্ধকারে জ্বলল বিজেপি কর্মীর বাড়ি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে