হুগলি, 22 জুলাই: ক্লাস রুম,খেলার মাঠ থেকে শুরু করে শিক্ষক সব কিছুই আছে । কিন্তু যাদের থাকার কথা সেই ছাত্রছাত্রীরাই নেই (Few Student In School)। এই অবস্থা শুধু একটি স্কুলেই নয় চন্দননগর এবং তার আশপাশের প্রায় 10 টি প্রাথমিক স্কুলে কম বেশি একই অবস্থা ৷ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে একবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বর্তমানে স্কুল গুলিতে প্রতিদিন 4-5 বেশি ছাত্রছাত্রী আসে না ৷ শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই অল্প সংখ্যক পড়ুয়া নিয়েই ক্লাস করাচ্ছেন। এই নিয়েই চলছে মিডে ডে মিলও। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চন্দননগরের বাংলা মাধ্যমের প্রাথমিক স্কুল গুলিতে উপস্থিতির হার ক্রমশ নিন্মমুখী। তবে চন্দননগর পৌরনিগম পরিচালিত বাংলা মাধ্যম বা ইংরাজি মাধ্যম স্কুল গুলিতে ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ৷
আরও পড়ুন: ইটিভি ভারতের খবরের জের ! খুলল 'বন্ধ' স্কুলের তালা
জানা গিয়েছে, চন্দননগর চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা 72টি। তার মধ্যে প্রায় 20 টি স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ এরমধ্যে 10টির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ ৷ এলাকার সাধুচরন স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা 5 জন । পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে এই স্কুলের মোট শিক্ষকের সংখ্যা 3। আবার পিসি সেন আদর্শ শিক্ষালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা 7 জন হলে নিয়মিত আসে মাত্র 4 জন । এই স্কুলেও পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে মোট শিক্ষিকার সংখ্যা 3।
পঠন-পাঠনের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো থাকলেও পড়ুয়া নেই 10 স্কুলে এছাড়াও নিরঞ্জন নগর জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা 5 জন হলেও নিয়মিত আসে 2 জন। শিক্ষক আছেন 2 জন। মহাডাঙা সুভাষ বিদ্যামন্দির প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা 9 জন। শিক্ষিকার সংখ্যা 2 জন। শিক্ষকদের দাবি অধিকাংশ অভিভাবক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দিকে ঝুঁকছেন বলেই এই অবস্থা। চন্দননগর শহরে বহু বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল চালু হয়েছে। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী সেখানেই চলে যাচ্ছে। তাতেই সরকারি প্রাথমিক স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পড়ুয়ারা ৷ যদিও এক অভিভাবক সমীর সাহানি বলেন, ‘‘এখানে পড়াশোনার মান নেই। বাচ্চাদের দেখাশোনারও কেউ নেই । সেই জন্য কেউ এই স্কুলে শিশুদের পাঠাতে চাইছেন না।’’