চন্দননগর, 31 অগস্ট: করোনার কারণে প্রায় দু'বছর জাঁকজমক ছিল না গণেশ পুজোতে । এবছর হুগলি জেলাজুড়ে গণেশ পুজোর আয়োজন করে পুজো কমিটিগুলি। মহারাষ্ট্র ছাড়িয়ে এ রাজ্যতেও গত কয়েক বছরে গণেশ পুজোর ঢল নেমেছে। গণেশের প্রধান প্রসাদ হিসেবে মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয় ৷ তার মধ্যে প্রথমেই যা থাকে তা হল মোদক ও লাড্ডু। তাই মিষ্টির দেকানগুলোতে লাড্ডু ও মোদকের বিক্রি বেড়েই চলেছে। আর এবারে চন্দননগরের (Surjya Modak in Chandannagar) সূর্যমোদক বানাল 50 কেজির লাড্ডু ৷
চন্দননগর গোন্দলপাড়া ম্যাড্রাসি পল্লীতে (Chandannagar Gondalpara) গত 90 বছর ধরে গণেশ পুজো হয়ে আসছে। এ বছর পুজো উপলক্ষ্যে অর্ডার দেওয়া হয়েছে 50 কিলো লাড্ডুর । অর্ডারমতো তৈরি হল লাড্ডুও (Chandannagar Surjya Modak Makes 50 kg Laddu) ৷ 50 কিলো লাড্ডু ছাড়াও 5 কিলো, 10 কিলো ও 20 কিলো-সহ লাড্ডুরও অর্ডার দেওয়া হয়েছে, আর ময়রারাও বানিয়ে ফেলেছেন মিষ্টি । 10 টাকা থেকে শুরু করে 15 হাজার টাকা পর্যন্ত এই লাড্ডু বিক্রি করছে বিখ্যাত মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান সূর্যমোদক (Surjya Modak Makes 50 kg Laddu on Ganesh Chaturthi 2022)। সেইসঙ্গে মোদক 20 টাকা থেকে শুরু করে 400 টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
চন্দননগর গোন্দলপাড়া ম্যাড্রাসি পল্লীর গণেশ পুজোর 50 কেজির লাড্ডু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পালকিতে আরও পড়ুন:মুসলিম পরিবারে সিদ্ধিদাতার আরাধনা ! সম্প্রীতির সাক্ষী দুর্গাপুর
বাড়ির পুজোর সঙ্গে সঙ্গে এবছর হুগলির বাঁশবেড়িয়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানি, শ্রীরামপুর ও ডানকুনি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ধুমধামের সঙ্গে পুজো হচ্ছে গণেশের। চন্দননগর সূর্যমোদকের কর্ণধার বলেন, "করোনার কারণে পুজোতে ভাটা পড়েছিল। বাজারও হয়েছিল মন্দা ৷ আসতে আসতে বাজার ঠিক হয়েছে। তাই গণেশ পুজো উপলক্ষে লাড্ডু ও মোদকের চাহিদা বেড়েছে। অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে বিক্রি বেড়েছে লাড্ডুর। অর্ডার অনুযায়ী 50, 30, 20, 10 কিলো ওজনের লাড্ডু বানিয়েছি। মোদকেরও ভালো চাহিদা রয়েছে। এখনও অর্ডার আসছে ।"
50 কিলো লাড্ডু বানিয়ে তাক লাগাল চন্দননগরের সূর্যমোদক আরও পড়ুন:একমাস আগেই পুজোর ঢাকে কাঠি, ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতেই সিদ্ধান্ত
গোন্দলপাড়া ম্যাড্রাসি পল্লী সার্বজনীন ক্লাবের সম্পাদক কিরণ কুমার বলেন, "অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমরা এখানে এসেছি ৷ তখন থেকেই পুজো হয়ে আসছে ৷ আমার পূর্বপুরুষরা এর আগে পুজো করেছেন ৷ গোন্দলপাড়া জুটমিলে কাজ করি। আমাদের হায়দরাবাদ থেকে আত্মীয়-স্বজন এসেছেন। 90 বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে। করোনার কারণে সমস্যা হয়েছিল, এখন তেমনটা আর নেই ৷ গণেশ পুজোর জন্য 50 কিলোর লাড্ডু বানিয়েছি। বাজনা-সহযোগে পালকি করে নিয়ে আসা হয়েছে লাড্ডু।" মহিলা ক্রেতা বিজলী দাস বলেন, "প্রতিবার এখান থেকে লাড্ডু নিয়ে যাই। 3 হাজার টাকার লাড্ডু ও মোদক 400 টাকা দিয়ে কিনেছি। মিষ্টির গুণগত মান ভালো হওয়ার কারণে পুজোপার্বণে নিয়ে যাই।"