পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Chandannagar Lighting: অতিমারি কাটিয়ে আবারও আলোর মুখ দেখছেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা - চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের কাজ

লন্ডন থেকে কলকাতা, আলোর জাদুতে (Chandannagar Lighting) ভরিয়ে দিয়েছে চন্দননগরের শিল্পীরা। টুনি বাল্ব থেকে শুরু করে এলিডি ও পিক্সেল লাইট দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের টুডি ও থ্রিডি মডেল (Chandannagar Jagadhatri Puja)। কোথাও জীবজন্তু, আল্পনা আবার কোথাও ডান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈচিত্র্যপূর্ণ নিত্যনতুন কাজ করে চলে এখানকার শিল্পীরা। তাঁরা চান আগামিদিনে আলোক শিল্পকে সরকারিভাবে যাতে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

Chandannagar Lighting
আলোর জাদুতে ভরিয়ে দিয়েছে চন্দননগরের শিল্পীরা

By

Published : Sep 17, 2022, 2:18 PM IST

Updated : Sep 17, 2022, 3:37 PM IST

চন্দননগর, 16 সেপ্টেম্বর: চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের কাজ (Chandannagar Lighting) রাজ্য তথা দেশেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। তাঁদের আলোক শিল্প বিদেশেও স্থান পেয়েছে। তাই দুর্গাপুজোর আগে প্রস্তুতিও এখন তুঙ্গে। এরপর আসছে জগদ্ধাত্রী পুজো (Chandannagar Jagadhatri Puja) ৷ তাই চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের এখন হাঁফ ফেলার সময় নেই ৷

যদিও করোনার (Corona Effect) কারণে বহু আলোক শিল্পী ও শ্রমিকরা পেশা পরিবর্তন করেছিলেন। বর্তমানে আবারও ছন্দে ফিরছেন তাঁরা। অতিমারিতে আলোক শিল্পের লাইট-সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমিকরা অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় শিল্পীরা কাজের পরিধিও ছোটো করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু চন্দননগরের মেকানিজমের আলোক শিল্পকে নতুন করে ছন্দে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন শিল্পীরা।

আরও পড়ুন:পর্যটকদের জন্য চারটি পুজো স্পেশাল ট্রেন চালাবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর চন্দননগরে আলো হাবের উদ্বোধন করলেও আলোক শিল্পীরা সেখানে টাকা ও ভাড়া দিয়ে যেতে রাজি হচ্ছেন না। এলিডি আসার পর উন্নত হয়ে হয়েছে আলোর জগতে। করোনার আগেও সারাবছর কাজ ছিল শিল্পীদের। কিন্তু কিছুটা হলেও এই শিল্পে ভাটা পড়ে। চন্দননগরে ছোট-বড় নিয়ে একশোর উপর আলোক শিল্পী রয়েছেন। করোনার আগে হাজার খানেক মানুষের কর্মসংস্থান হত। গণেশ, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী পুজো থেকে ক্রিসমাস ও বিবাহ অনুষ্ঠানে ভালো অর্ডার পেতেন শিল্পীরা।

কোথাও জীবজন্তু, আল্পনা আবার কোথাও ডান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈচিত্র্যপূর্ণ নিত্যনতুন কাজ করে চলে এখানকার শিল্পীরা

গত দু'বছরে বহু শিল্পী ও শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। এবছর আবারও শিল্পীরা নতুন উদ্যমে কাজ করছেন। চন্দননগরের আলোক শিল্পী পিন্টু মুখোপাধ্যায় 22 ফুটের গডজিলা, ডায়নোসরাস ও বিরাট একটি সাপ বানিয়েছেন। এইগুলি সব লাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। বিশাল বিশাল আকারের জন্তুর মডেল আলোর মাধ্যমে ফোটানো হয়েছে।

অন্যদিকে, রাজা ইলেকট্রিকের কর্ণধার রাজা যাদবের মূল আকর্ষণ থাকছে ড্যান্সিং লাইট। রাস্তার দু'দিকে থাকছে কম্পিউটার লাইট। আর সেই লাইটের উপর দিয়ে হাঁটবেন পুজো মণ্ডপে আসা মানুষজন। নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা পাবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়াও থাকছে এলিডি লাইটের দুর্গার মুখ থেকে সরকারি প্রকল্প ও হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরা হয়েছে আলোর মধ্যে দিয়ে। এই লাইট দেখা যাবে কালীপুজোর সময় ঝাড়খণ্ডে।

টুনি বাল্ব থেকে শুরু করে এলিডি ও পিক্সেল লাইট দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের টুডি ও থ্রিডি মডেল

আরও পড়ুন:ত্রিকোণ পার্কের এবারের পুজোর থিম 'কালি'

বাচ্চা ইলেক্ট্রিকের তরফে স্বাধীনতা 75 বছর উপলক্ষে স্থলসেনা, নৌসেনা ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন থ্রিডি মডেল তৈরি করেছেন শিল্পী। সেই সঙ্গে আগেকার দিনে রাজার নগর পরিক্রমা বেরোতেন সেই আলো দেখানো হবে। বিভিন্ন মাঙ্গলিক জিনিসের মডেল ও বিশালাকার হাতির মডেল তৈরি করা হয়েছে। এদের এবারে শিল্প কর্ম যাচ্ছে শিলং-এ। চন্দননগরের আলোকসজ্জা কলকাতার বেশির ভাগ দুর্গা পুজোর মণ্ডপগুলিকে ভরিয়ে তুলবে। এছাড়াও কালি, কার্তিক ও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোক শিল্পও আকর্ষণ হবে। যা চন্দননগর তথা গোটা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবে।

অতিমারি কাটিয়ে অবশেষে সুদিন ফিরেছে চন্দননগরে

আরও পড়ুন:'মিস ইউ', বাগুইআটি উদয়ন সংঘ এবার স্মরণ করবে সাধারণ ও গুণীজনদের

Last Updated : Sep 17, 2022, 3:37 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details