চন্দননগর, 27 এপ্রিল : তাপমাত্রা পরীক্ষা থেকে শুরু করে দূর থেকে আসা রোগীদের বাড়ির লোকজনকে খাওয়ানো, কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার নানা পদক্ষেপ চন্দননগর কোরোনা হাসপাতালের ।
ফিভার ক্লিনিক থেকে রোগীর পরিবারকে খাওয়ানো, একাধিক ব্যবস্থা চন্দননগর হাসপাতালে
থার্মাল স্ক্রিনিং, ফিভার ক্লিনিক থেকে শুরু করে দূর থেকে আসা রোগীর পরিবারের জন্য খাওয়ানো, কোরোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে চন্দননগর হাসপাতালের তরফে ।
একে হাসপাতাল চত্বরে সংক্রমণের আশঙ্কা, তারউপর লকডাউনের জেরে ব্যাহত নানা পরিষেবা । এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ ও রোগীদের পরিবারের জন্য নানা ব্যবস্থা করেছে চন্দননগর হাসপাতাল । প্রবেশ পথে করা হচ্ছে থার্মাল স্ক্রিনিং । বেগতিক দেখলেই পাঠানো হচ্ছে ফিভার ক্লিনিকে। পাশাপাশি পুরো এলাকায় চলছে কড়া নজরদারি । কেউ যাতে অযথা হাসপাতালে ঢুকতে না পারেন বা কোনও টোটো বা অটো চালক হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে না বেড়ায়, সেজন্য রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী । লকডাউনের জেরে হোটেল ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ । তাই দূর থেকে আসা রোগীর পরিবারের সদস্যদের জন্য খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে । এবিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য খোকন দাস বলেন, "দূরদূরান্ত থেকে এসে চন্দননগর হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে রোগীরা । রোগীদের পরিবারের লোকজন দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পারছে না। তাই আমরা এই সবজি-ভাত খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। 31 মার্চ থেকে শুরু করেছি। দু'বেলা প্রায় 220 জনের উপর মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন আমরা খাওয়াব।"
চন্দননগর হাসপাতালের সুপার জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, "একমাস ধরে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে আমাদের হাসপাতালে । হাসপাতালের মূল গেটে থার্মাল স্ক্রিনিংয় করে সবাইকে হাসপাতালে ঢোকানো হচ্ছে। রোগী এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে জ্বর থাকলে, এখানে আমরা চেকআপ করছি । অযথা কোনও টোটো বা অটো যাতে না ঢোকে, সেজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে । অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশন এবং রোগীকল্যাণ সমিতির তরফে রোগীর পরিবারের লোকজনের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনিক তরফে এবং ডাক্তার নার্স সকলেই সাহায্য করছে তাদের। কোভিড অ্যাম্বুলেন্স চালকদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।"