বৈদ্যবাটি, 28 জুন : চৈত্র থেকে শ্রাবণ ৷ এই পাঁচটা মাস শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে লাখ লাখ ভক্তর সমাগম হয় তারকেশ্বরে ৷ আর সেই সূত্রে বৈদ্যবাটির নিমাই তীর্থ ঘাটেও ভিড় হয় ভক্তদের ৷ তাই এই নিমাই তীর্থ ঘাটের পাশে গজিয়ে উঠেছে বহু দোকান ৷ এই দোকানগুলিতে মাটির কলসি থেকে শুরু করে বাঁক-সহ ভক্তদের জন্য পুজোর সব সামগ্রীই বিক্রি হয় ৷ বেশ কিছু খাবারের দোকানও রয়েছে এই নিমাই তীর্থ ঘাটের পাশে ৷ প্রতিবছর চৈত্র থেকে শ্রাবণ লক্ষাধিক টাকার ব্যবসা করেন এই দোকানের ব্যবসায়ীরা ৷ কিন্তু এবছর কোরোনার জেরে আগেই শ্রাবণী মেলা বাতিল করে দিয়েছেন তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ তার উপর বন্ধ রাখা হয়েছে মন্দিরও ৷ ফলে, এবছর এখনও কোনও ভক্তর দেখা মেলেনি ৷ আর তারই প্রভাব পড়েছে নিমাই তীর্থ ঘাটের পাশে গজিয়ে ওঠা দোকানের ব্যবসায়ীদের উপর ৷
মানুষের মুখে প্রচলিত, বৈদ্যবাটির এই নিমাই তীর্থ ঘাটেই স্নান করেছিলেন মহাপ্রভু ৷ তারপর সেখান থেকেই তারকেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তাই চৈত্র থেকে শ্রাবণ মাসে যখন তারকেশ্বরে ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন তখন এই নিমাই তীর্থ ঘাটেও ভিড় করেন তাঁরা ৷ এই ঘাটেই ভক্তরা স্নান করে বাঁকের কলসিতে জল নিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালতে তারকেশ্বর মন্দিরে যান ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো রোজগারের আশায় এই নিমাই তীর্থ ঘাট এলাকায় বহু ব্যবসায়ী দোকান খুলে বসেন ৷ কেউ শুধু মাটির কলসি, ঘট, ধুনুচি বিক্রি করেন ৷ কেউ আবার বাঁক থেকে শুরু করে পুজোর প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী বিক্রি করেন ৷ কেউ কেউ আবার খাবারের দোকানও খুলে বসেছেন ৷
নিমাই তীর্থ ঘাটের পাশের এই দোকানগুলির সংখ্যা প্রায় 1 হাজার ৷ এই পাঁচ মাসে তাঁদের মাসিক আয় হয় প্রায় 1 লাখ টাকা করে ৷ কিন্তু কোরোনা ও লকডাউনের জেরে এখন তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ৷ কারণ, কোরোনার জেরে আগেই শ্রাবণী মেলা বাতিল করেছেন তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ তার উপর বন্ধ রাখা হয়েছে মন্দিরও ৷ ফলে, আষাঢ় মাস চলে এলেও এখনও পর্যন্ত একজনও ভক্ত আসেননি ৷