চুঁচুড়া, 3 জুন : চুঁচুড়ার একটি পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় । মৃতের নাম যীশু চক্রবর্তী (45) । বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার গোস্বামী বাগান এলাকায় ।
মৃত যীশু চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমের ব্রডকাস্টিং ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন । একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে চাকরি করেছেন তিনি । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একবছর আগে থেকে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না ৷ ইদানিং সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে ৷ তা সত্ত্বেও বুধবার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে কেক নিয়ে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গোস্বামী বাগানে শ্বশুরবাড়িতে যান যীশু ।
কিন্তু তারপরেও স্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা না করে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন তাঁকে ৷ এরপরই ন'টা নাগাদ স্থানীয় একটি পুকুর থেকে যীশুর মৃতদেহ দেখতে পান বাসিন্দারা । দেখা না করে স্ত্রী-র ফিরিয়ে দেওয়ার অভিমানেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে বাসিন্দাদের অনুমান । তবে যীশুর মোটরবাইকটি দাঁড় করানো ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনেই ।
সূত্রের খবর ,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জানুয়ারি মাস থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে । আর তাতেই যীশু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর । গতবছর সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সময় তাঁর চাকরি চলে যায় । তারপরই পরিবারে সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং সেই কারণেই বৈবাহিক জীবনে অশান্তি শুরু হয় ।প্রাথমিক ধারণা সেখান থেকেই এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে পরিবারের অনুমান ।
খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় ৷ তবে এটা আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন :সৌমেন্দুকে তৃণমূলে ফেরাতে মমতাকে ফোন ? কী বলছেন শান্তিকুঞ্জের অভিভাবক
এ বিষয়ে যীশুর চক্রবর্তীর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী বলেন, "আমাদের বিবাহবার্ষিকী থাকায় কেক ও ফুল নিয়ে এসেছিল যীশু । মাঝে মধ্যেই আসত । এদিন আসার পর আমার মা ওকে বাড়ি চলে যেতে বলেন । মদ্যপ অবস্থায় ছিল যীশু , হাঁটতেও পারছিল না । এ বছর জানুয়ারিতে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়েছে । মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আমি আর ওকে ফোন করিনি । মায়ের সঙ্গে কথা হত । বুধবারেও আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি । আমার শ্বশুর মশাইকে ফোন করে ডেকে যীশুকে নিয়ে যেতে বলা হয় সেদিন । এর কিছুক্ষণ পর শুনি ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । পরে পুকুর থেকে ওর মৃতদেহ পাওয়া যায় ।