সিঙ্গুর, 31 জানুয়ারি : সিঙ্গুরে (Singur land) শিল্প হয়নি ৷ সুপ্রিম কোর্ট জমি চাষযোগ্য করার নির্দেশ দিয়েছিল ৷ সেই মতো কিছুটা অংশকে চাষযোগ্য করা হলেও অনেকটা জমিই এখনও পড়ে রয়েছে । সেখান চাষ করেও ভাল ফলন পাচ্ছেন না বলে দাবি কৃষকদের ৷ তাই বর্তমানে সিঙ্গুরের সেই জমি (fisheries created at Singur) থেকে মাটি কেটে মাছের ভেড়ি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশাল মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে এসে কাজ শুরু করেছে সরকার ৷ তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা (BJP attacks govt)। কৃষকদের দাবি, জমি চাষের অযোগ্য, তাই তাঁরা সরকারি সহায়তায় মাছের ভেড়ি তৈরি করছেন । তবে শিল্পের বদলে সিঙ্গুরের জমিতে মাছের ভেড়ি তৈরি করায় শাসকদলকে একহাত নিয়েছে বিরোধীরা ৷ পাল্টা জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
2016 সালে 31 অগাস্ট টাটাদের কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি চাষযোগ্য করে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট । সেই অনুযায়ী কারখানা ভেঙে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেয় সরকার । সেই বছরই 20 অক্টোবর সিঙ্গুরের জমিতে সর্ষের বীজ ছড়িয়ে চাষের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত । কিন্তু সেই জমির অনেকটা অংশ এখনও চাষের উপযুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ চাষীদের । এবার সেই জমির অন্তর্গত সিঙ্গুরের গোপালনগর মৌজায় শুরু হয়েছে মাছের ভেড়ি তৈরির কাজ । পাশাপাশি সিংহের ভেড়ি, খাসের ভেড়ি এলাকাতেও আরও কয়েকটা মাছের ভেড়ি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর ।
আরও পড়ুন:BJP Agitation in Singur : মঙ্গলবার থেকে সিঙ্গুরে 72 ঘণ্টার ‘কৃষক আন্দোলন’ বিজেপি-র
গোপালনগর মৌজার কৃষক বনমালী মাইতি বলেন, "একটা স্বপ্ন ছিল কারখানা হবে । সেটা তো হল না । যা পাথর পড়ে আছে, সেখানে ধান চাষ করা সম্ভব নয় । তাই একটা চিন্তা ভাবনা করেছি যাতে কিছু রোজগার করা যায় । সেই অনুযায়ী আবেদন করেছিলাম মাছের ভেড়ি করার, সরকার অনুমতি দিয়েছে ।"