হুগলি, 9 জুলাই:আজ উল্টোরথ ৷ আজকে মাসির বাড়ি থেকে ফিরবেন জগন্নাথ দেব ৷ এই উল্টোরথ ঘিরেই প্রচলিত ভাণ্ডাক লুঠর প্রথা ৷ প্রায় 283 বছরের পুরনো এই প্রথা ৷ জৌলুস আগের থেকে ম্লান হলেও প্রথা পালন হয়ে আসছে নিষ্ঠার সঙ্গে (Bhandarluth) ৷
কথিত আছে, রথের আগে স্নান করে জগন্নাথ দেবের জ্বর আসে ৷ তাই বৈদ্যের পরামর্শে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ দেব ৷ লক্ষীদেবী রেখে যান ৷ এদিকে মাসির বাড়ি গিয়ে সুখাদ্য আর আমোদপ্রমোদে ডুবে জগন্নাথ দেব ঘরে ফেরার কথা ভুলে যান ৷ জগন্নাথ দেব বাড়ি না-ফেরায় চিন্তিত লক্ষ্মীদেবী ভাবেন প্রভু বোধহয় বাড়ি ফেরার কথা ভুলে গিয়েছেন ৷
জগন্নাথ পত্নী লক্ষ্মীদেবী বৃন্দাবন চন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে নালিশ করেন জগন্নাথের নামে ৷ তারপরেই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির খাদ্য ভাণ্ডার লুঠ করার পরিকল্পনা করেন লেঠেল দিয়ে ৷ মাসির বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে খাবার লুট করা হয়। কেজি কেজি মালসায় ভরা খিচুড়ি ভোগ, পায়েস, অন্ন, বিভিন্ন রকমের ভাজা, ভিন্নধরনের ফল, মিষ্টি, মালপোয়া লুট করে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। খাবার না-পেয়ে পরদিন মাসির বাড়ি থেকে উল্টোরথে ঘরে ফেরেন জগন্নাথ।
উল্টোরথের আগে ভাণ্ডার লুঠ আরও পড়ুন :ভক্তদের দেওয়া কাঁসা পিতলের তৈরি রথে মাসির বাড়ি যাত্রা জগন্নাথের
আগে এই ভাণ্ডার লুঠে যে লেঠেল সবথেকে বেশি মালসা লুঠ করতে তাকেই নিজের বিশাল সম্পত্তি পাহাড়ার জন্য নিযুক্ত করত জমিদার বৃদ্ধাবন চন্দ্র ৷ তবে এখন জমিদারি প্রথা লোপ পেয়েছে ৷ সেই লেঠেলবাহিনীও নেই ৷ তবে আজও নিষ্ঠার সঙ্গে উল্টোরথের আগের দিন পালিত হয় ‘ভাণ্ডার লুঠ’ ৷