চন্দননগর, 26 অক্টোবর: ভাইফোঁটা (Bhai Phonta) মানে বাঙালির ভূরিভোজ। ভাইদের দীর্ঘ আয়ু কামনায় বোনেরা ফোঁটা দেন। সেই উপলক্ষে সারাদিন চলে খাওয়া দাওয়া। বোনেরা-ভাইয়ের জন্য নানা পদের মিষ্টি কেনেন। আর হুগলিতে বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছে বিখ্যাত সব মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানগুলি (Special Sweet in Hooghly)।
রয়েছে চন্দননগরের (Special Sweet of Chandannagar) 'জলভরা' থেকে রসমাধুরী, সন্দেশ এছাড়াও রয়েছে ছানার কেক থেকে নতুন ধরনের পিউশান মিষ্টি । নোনতার মধ্যে লবঙ্গলতিকা আর খাজা তো থাকছেই । কালীপুজোর আগে থেকেই ময়রা ব্যস্ত থাকেন নানা স্বাদের, নানা আকারের মিষ্টি তৈরি করতে। কেউ নিজেদের বংশ পরম্পরার মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত। আবার কেউ সাধারণ মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে মিষ্টি স্বাদ ও সাধের মধ্যে রেখেছেন দাম। তবে কেউই গুণগত মান অটুট রাখতে দামের সঙ্গে আপস করছেন না। ভাইকে সব থেকে ভালো মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য গঙ্গা পার করে অন্য জেলা থেকে কেউ কেউ এসেছেন চন্দননগরের মিষ্টি কিনতে। এ চিত্র নতুন নয়, অনেকেই এমন রয়েছেন যে, হুগলি থেকে মিষ্টির টানে ভিন জেলা থেকে এসে মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।
দিদি ও বোনেরা যতটুকু পাচ্ছেন বেশি দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত দফতরের স্পেশাল থালি, ভাইকে জমিয়ে খাওয়াতে আজই অর্ডার দিন
এক গ্রাহক সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গতবারের তুলনায় মিষ্টির সাইজ ছোটো হয়েছে। সাধের মধ্যে থেকেই ভাইদের জন্য মিষ্টি কিনতে হয়। গাজর ও স্ট্রবেরি মিষ্টি, মৌচাক ও সন্দেশ নিয়েছি ভাইয়েদের দেওয়ার জন্য।" হালিশহর থেকে আসা শঙ্খমিতা দাস বলেন, "ভাইফোঁটা সবার কাছেই স্পেশাল। খিরপুলি ও রসমাধুরী সবকিছুই নিচ্ছি ।" পাশপাশি আরও এক গ্রাহক দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রতি বছরের মতো এ বছরেও সূর্যমোদকের 'জলভরা' ভাইদের পাতে দেবেন বোনেরা। তাই মা স্ত্রী ও মেয়ের জন্য মিষ্টি কিনতে এসছি। তবে অনেকটাই দাম বেড়েছে এ বছরে। তা সত্ত্বেও বাঙালির এই উৎসবে সকলের জন্য মিষ্টি দিতেই কিনতে আসা।"
নলেন গুড়ের জলভরা, ক্ষীরপুলি, মতিচুর, রস মাধুরীতেও ফিউশান আনা হয়েছে ভদ্রেশ্বরের সূর্যমোদকের কর্ণধার শুভেন্দু মোদক বলেন, "নলেন গুড়ের জলভরা, ক্ষীরপুলি, মতিচুর, রস মাধুরীতেও ফিউশান আনা হয়েছে। ভাইফোঁটার স্পেশাল সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে। নতুনত্ব বলতে ডিম ছাড়া কেক তৈরি করা হয়েছে। এই মিষ্টির চাহিদাও রয়েছে খুব বেশি। এ বছরে বাজার ঠিকই রয়েছে। ভাইফোঁটার আগের দিনই বিক্রি বেশি হয় আমাদের। বাজারদর বাড়ার কারণেই মিষ্টির দর বাড়াতে হয়েছে। তবে গুণগত মানের সঙ্গে আমরা আপস করি না। আমরা চেষ্টা করি সবেতেই যেন গ্রাহকরা সন্তুষ্ট থাকেন।"
হুগলিতে বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছে বিখ্যাত সব মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানগুলি আরও পড়ুন:ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় কখন ফোঁটা দেবেন ? জেনে নিন বিশদে
শীল সুইটসের কর্ণধার প্রণব শীল বলেন, "ভাইফোঁটা নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সকলের ৷ তাই সকলের আনন্দকে ভাগ করতে আমরা মিষ্টির দামটাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রেখে রাখতে পেরেছি ৷ মূল্যবৃদ্ধির সময়ে লাভ কম রেখে যদি বেশি বিক্রির আশা করি সেটা আমাদের সবার পক্ষেই মঙ্গল ৷ আমাদের দোকানে সবচেয়ে বিখ্যাত তৃপ্তি সন্দেশ এছাড়াও অনেক ধরনের মিষ্টি তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন।"