ব্যান্ডেল, 31 মে : ঠিকাদার সংস্থা পরম এন্টারপ্রাইজের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল ব্যান্ডেল স্টেশনকে বিশ্ব মানের ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে ৷ যা বিশ্বের বৃহত্তম ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম বলে দাবি করা হয়েছিল ৷ এ বার সেই দাবিকে হাতিয়ার করেই ঠিকাদার সংস্থার তরফে নথি সহ ব্যান্ডেল স্টেশনের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তোলার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে (Bandel Station Name is Recommended for Guinness Book of World Records) ৷
ঠিকাদার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দেশে শতাধিক স্টেশন রয়েছে যেখানে ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম ব্যবস্থায় ট্রেনের লাইন পরিবর্তন করা হয় ৷ সেখানে খড়গপুরের ইন্টারলকিং সিস্টেমে 800টি রুট রয়েছে ৷ অর্থাৎ, স্টেশনের ট্রেন ঢোকা এবং বেরনোর ক্ষেত্রে দু’দিকে ট্র্যাক চেঞ্জের ক্ষেত্রে 800টি রুট রয়েছে ৷ তেমনি সম্প্রতি ব্যান্ডেল স্টেশনকে আধুনিক ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে নিয়ে আসা হয় ৷ যেখানে স্টেশনের দু’দিকের লাইনে মোট 1 হাজার 2টি ইন্টারলকিং রুট রয়েছে ৷ যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম বলে দাবি ঠিকাদার সংস্থার ৷
সম্প্রতি পূর্ব রেলের তরফে 72 ঘণ্টা রেল পরিষেবা বন্ধ রেখে ব্যান্ডেল স্টেশনে রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম বদল করে ইলেক্ট্রনিক করা হয় ৷ সেই সঙ্গে সবচেয়ে বৃহত্তম ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম সেখানে তৈরি করা হয় ৷ এ নিয়ে ঠিকাদার সংস্থা পরম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুনিত পাঠক জানান, ‘‘ব্যান্ডেল স্টেশন ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের হওয়ায় রেলের অনেক বেশি সুবিধা হবে ৷ আরও বেশি দ্রুত ও সুরক্ষিত পরিষেবা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে ৷ ইন্টারলকিং সিস্টেম অনেক জায়গায় লাগানো হলেও, ব্যান্ডেলেই সবচেয়ে বড় সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে ৷ এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রুটের স্টেশন হয়েছে ৷ আমাদের তরফে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ব্যান্ডেলের নাম তুলতে আবেদন জমা দেয়া হয়েছে ৷ তারা আবেদনপত্রটি গ্রহণ করে, এখানে এসে পরীক্ষা করে দেখে মান্যতা দিলে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ব্যান্ডেল স্টেশনের নাম উঠবে ৷’’
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম সুপারিশ ব্যান্ডেল স্টেশনের আরও পড়ুন : Train Service Resumed at Bandel : সেই চেনা ছন্দে, সোম সন্ধ্যায় ব্যান্ডেল স্টেশনে গড়াল ট্রেনের চাকা
আগে ব্যান্ডেল স্টেশনে ব্রিটিশ রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম বাতিল করে ইআইএস চালু হয়েছে । আগে পুরোটাই ম্যানুয়াল ছিল ৷ ফলে পরিষেবা কিছুটা হলেও দেরি হত ৷ এ বার সেটাই পুরোপুরি ইলেকট্রনিক হওয়ায় পরিষেবার গতি বাড়বে ৷ অনেক বেশি ট্রেন চালানো যাবে এই রুটে ৷ এমনকি ইন্ডোর মেন্টেন্যান্সে লোক কম লাগবে ৷ এমনকি ট্রেন দূর্ঘটনার প্রবণতা কমবে ৷ কুয়াশাতেও সিগন্যালের কোন সমস্যা হবে না বলে আগেই জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা ৷ ইন্টারলকিং কেবিনে দু’টি বড় প্যানেল বোর্ড বসানো হয়েছে ৷ একটি সিস্টেম খারাপ হয়ে গেল, অন্য সিস্টেমে কাজ শুরু হবে ৷ এই পুরো ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমটি জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি ৷