সিসিটিভি ও বিশেষ নিরাপত্তায় ব্যান্ডেল চার্চ ব্যান্ডেল, 23 ডিসেম্বর: বড়দিনের আগে সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ। নানা ইতিহাসের শেকড় জড়িয়ে রয়েছে ব্যান্ডেলের গির্জাকে ঘিরে।পর্তুগিজদের হাত ধরে 1599 খ্রিষ্টাব্দে ব্যান্ডেল গির্জা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বড়দিনের আগে আলো ও মডেল দিয়ে সাজানো হয়েছে এটিকে। যিশুর জন্মদিন উদযাপনের জন্য গির্জার সামনেই তৈরি করা হচ্ছে গোশালা। মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যিশুর জন্ম বৃত্তান্ত।সাধারণের কথা মাথায় রেখেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ও বিশেষ নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়।
ফাদার জানান, 24 ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রভু যিশুর জন্ম মুহূর্ত উদযাপিত হবে। রাত সাড়ে দশটা থেকে চলবে বিশেষ প্রার্থনা। বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে ভিড় এড়াতে 25 ডিসেম্বর ও 1 জানুয়ারি ব্যান্ডেল গির্জা বন্ধ থাকে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। তবে যেখানে গোশালা তৈরি করা হয়েছে, সেখানে যাওয়ার অনুমতি থাকে। ব্যান্ডেল চার্চের সামনে বড়দিন উপলক্ষে মেলা বসে। হরেক রকম পসরা নিয়ে সাজিয়ে বসেন দোকানীরা ৷ বিকিকিনি হয় ভালোই।
গঙ্গার পারে খোলা মাঠেও মেলা ও পিকনিক হয়। সব মিলিয়ে এই ক'টা দিন জমজমাট থাকে এই চত্বর। ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকার বর্তমান ফাদার জনি নেডুনাট গির্জার ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, 25 ডিসেম্বর ও 1 জানুয়ারি ছাড়া প্রতিদিন গির্জা সকাল 8টা থেকে বিকাল 4.50 মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। ভিড় সামলাতে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ও নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশও মোতায়েন করা হবে। সকলে মিলে চেষ্টা করা হয় যাতে কোনও কিছু অঘটন না-হয়।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা সাজানো হয়েছে। ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে আসে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা থেকে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ। এই ঐতিহাসিক স্থান দেখতে আসা এক কলেজ ছাত্র নেহা বিশ্বাস ও প্রেরণা পাল বলেন, "এই গির্জা ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে আছে। সেই জন্য আমাদের আশা। শীতকালে আমাদের মতো বহু মানুষ আসেন। আমরা কলেজ ছাত্রীরাও এখানে এসেছি। খুবই ভালো জায়গা একদিন এসে আমরা খুব আনন্দ করেছি।"
আরও পড়ুন:
- আসছে সান্তাক্লজ, আলোর রোশনাইয়ে সেজেছে পার্ক স্ট্রিট, বড়দিনের আগেই উৎসবের আমেজ শহরজুড়ে
- শহর জুড়ে সাজসাজ রব, বড়দিনের আগে কেমন চলছে বিকিকিনি?
- সিভিক ভলান্টিয়ার যখন সান্তাক্লজ! পথনিরাপত্তার পাঠ দিতে উদ্যোগ সাব ট্রাফিক পুলিশের