হুগলি, 15 মার্চ:স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির ফলক থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মুছে দিল বলাগড় কলেজ কর্তৃপক্ষ (Erase the Name of Santanu Banerjee from Plaque)। শান্তনু বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি থাকাকালীন বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন হয় । পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসাবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মূর্তির উদ্বোধন করেন । সেই মতো ফলকে নামও লেখা ছিল তাঁর ৷ কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে আসার পরই তা আজ বুধবার মুছে দেওয়া হয় (Hooghly News)।
Santanu Banerjee: মনীষীর ফলক থেকে শান্তনুর নাম মুছে দিল কলেজ কর্তৃপক্ষ - Hooghly News
প্রথমে দল থেকে বহিষ্কার, তারপর চাকরি থেকে সাসপেন্ড ৷ আর এবার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি থাকার জন্য কলেজের ফলকে যে নাম শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল তাও এবার মুছে ফেলা হল (Santanu Banerjee News Update)৷
এমনকি কলেজে নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে । সেইসব কারণে কলেজের ফলক থেকে শান্তনুর নাম হটিয়ে দেওয়া হয় । কলেজ রাজনীতি থেকেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উঠে আসা । 2015 সাল থেকে পাঁচ বছর বলাগড় কলেজের সভাপতি ছিলেন তিনি । এরপরই জনপ্রিয়তা বাড়ে ৷ দলের যুব সভাপতি হন । একাধিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠেন ।সেইসব প্রভাব খাটিয়েই বিপুল সম্পত্তি তৈরি করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে ।
শান্তনুর পর বলাগড় কলেজে সভাপতি ছিলেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী । পরে তার প্রতিনিধি হিসাবে মহিরুল হককে সভাপতি করা হয় । এদিন মহিরুল বলেন, "আমি সবে সভাপতি হয়েছি । কলেজের সব বিষয়ে এখনও সঠিক জানা নেই ।আগে কী হয়েছে সে বিষয়েও ঠিক জানিনা । একটা জিবি মিটিংয়ে ছিলাম । কয়েকটা বিষয়ে প্রশ্ন মনে আসায় অধ্যক্ষকে মেল করে জানতে চেয়েছি ।"
এই বিষয়ে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব চিরঞ্জিত রায়ের বক্তব্য, নাম মুছে ফেলা ও সাসপেন্ড করা এটা পুরনো একটা ধামাচাপা দেওয়ার সিস্টেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । কলেজে দশ বছর নির্বাচন হয় না । বাহুবলের রাজনীতি হচ্ছে কলেজে । শান্তনু কলেজে সভাপতি থাকাকালীন কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, যেটা স্বচ্ছ নয় । শান্তনুর আমলে দুর্নীতি হয়েছে ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শান্তনু দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন । দলও তাঁকে বহিষ্কার করেছে ৷ তাই আমরা ফলক ঢেকে দিয়েছি । কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ হয়েছে । তবে পরে জানতে পারি যে চারজনকে নেওয়া হয়েছে প্রত্যেকেই স্থানীয় । মোট সাতজন অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মচারী আছে কলেজে যাদের কলেজ ফান্ড থেকে বেতন দেওয়া হয় । শান্তনু দু'জনকে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন । কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় না করায় তাদের নেওয়া হয়নি । তারপর থেকেই আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় । কলেজের উন্নয়নে মিটিংয়ে প্রথম দিকে উপস্থিত থাকলেও পরে আর সেভাবে আসতেন না ।"