চুঁচুড়া, 21জুলাই : চুঁচুড়া পৌরসভায় কর্মীনিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যানঅমিত রায় ।আর সে কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করছেন তিনি । সোমবার পৌর ওনগর উন্নয়ন দপ্তরে তরফে চুঁচুড়া পৌরসভায় এক নির্দেশিকা আসে ।সেখানে লেখা থাকেপৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায়কে সরিয়ে দিতে হবে ।
সম্প্রতিহুগলি চুঁচুড়া পৌরসভায় নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির সামনে আসে ।76জন গ্রুপ ডি ও পিয়ন পদে নিয়োগ নিয়মমেনে হয়নি বলে পরীক্ষা বাতিল করে দেয় পৌর নগর উন্নয়ন দপ্তর । আর তা নিয়েই মুখখুলেছিলেন পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায় । তিনি বলেছিলেন, “যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছে তারাচাকরি পেয়েছে । বোর্ডে ছিলেন যেসব কাউন্সিলররা তাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিয়েছিল,তারা চাকরি পায় কি করে ! এই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ দুর্নীতি হয়েছে ।"
অমিতবাবু আরও বলেন, “দলেরএকজন সৈনিক হিসেবে আমি কাজ করেছি। দুর্নীতি হলে তার প্রতিবাদ করব।যারা দুর্নীতিকরবে তাদের মুখোশ খুলে দেব।দুর্নীতি প্রসঙ্গে আমি পৌরসভার বোর্ড মিটিংয়ে বলেছি এবংদলের কাছেও এই দুর্নীতির বিষয়ে তুলেছি । এমন কী, CICমিটিংয়েও আমি এই দুর্নীতির কথাপ্রকাশ্যে জানাই ।কিন্তু যখন কোনও প্রতিবাদ হয়নি মানুষের স্বার্থে এই ঘটনার সামনেএনেছি।”
"মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বলেছি ।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যরাখার পরেই আমি এই কথাটা প্রকাশ্যে আনি । আরও4জন আছে তার মধ্যে আমাকে সরিয়ে দেওয়ারপিছনে অনেক বড় উদ্দেশ্য আছে । এতে মানুষের আন্দোলনকে বন্ধ করা যায় না । প্রতিবাদকরেছি বলে বলি হয়েছি বা শহিদ হয়েছি ।" জানিয়েছেন তিনি ।
তাঁর কথায়,"তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাকেবাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা কখনই সফল হবে না। এটা হিতে বিপরীত হবে। এটা আগুনে ঘিপড়ল। এর বহিঃপ্রকাশ ভয়ঙ্কর হবে। আমাকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে যারা পর্দার আড়ালথেকে এসব করছেন। তাদের পর্দার আড়াল থেকে টেনে বার করব ।"