পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Chandannagar Veterinary Hospital: রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চন্দননগর পশু হাসপাতাল যেন হানাবাড়ি

চন্দননগর পশু হাসপাতাল ৷ 1982 সালে তৈরি হওয়া এই পশু হাসপাতালটি আজ দূর থেকে দেখলে হানাবাড়ি বলে মনে হবে ৷ অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় বন-জঙ্গলের মাঝে ভগ্নপ্রায় অবস্থা এই হাসপাতালের (Allegation of Lack of Maintenance and Poor Infrastructure in Chandannagar Veterinary Hospital) ৷ আর হাসপাতালের পরিকাঠামো ? মধ্যযুগকেও হার মানাবে বলে অভিযোগ চিকিৎসা করাতে আনা পোষ্যের মালিকদের ৷

Allegation of Lack of Maintenance and Poor Infrastructure in Chandannagar Veterinary Hospital
Allegation of Lack of Maintenance and Poor Infrastructure in Chandannagar Veterinary Hospital

By

Published : May 1, 2022, 4:42 PM IST

চন্দননগর, 1 মে : বন-জঙ্গলে ঘেরা ও প্রায় ভগ্নদশা, এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে চন্দননগর পশু হাসপাতাল ৷ এমনকি নামেই এটি পশু হাসপাতাল ৷ অভিযোগ, সেখানে না আছে পশু চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো (Allegation of Lack of Maintenance and Poor Infrastructure in Chandannagar Veterinary Hospital) ৷ আর না আছে যথেষ্ট সংখ্যায় চিকিৎসক ৷ হাতেগোনা যে কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তাঁদের উপরেই সব দায়িত্ব ৷ আশির দশকে তৈরি হওয়া এই সরকারি পশু হাসপাতালকে নতুন রূপে তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন পোষ্য মালিকরা ৷

প্রায় দু’দশক আগে চন্দননগর পশু হাসপাতালে নিয়মিত গৃহপালিত, গবাদি এবং পথকুকুরদের চিকিৎসা হত ৷ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হত চিকিৎসার জন্য ৷ এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার আবাসনও ছিল ৷ কিন্তু, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে ৷ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন ভেঙে পড়ছে ৷ বন-জঙ্গলে ঘিরে রয়েছে হাসপাতালটি ৷ কেবলমাত্র দিনের বেলায় পশুদের চিকিৎসা করা হয় ৷ কোনও পশুকে এখন আর হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয় না বলেই অভিযোগ পোষ্যের মালিকদের ৷ কোনওরকমে চিকিৎসকরা অসুস্থ পশুদের দেখে ছেড়ে দেন ৷

চন্দননগর পৌরনিগমের 29নং ওয়ার্ডে এই পশু হাসপাতালটি 1982 সালে তৈরি হয়েছিল ৷ প্রায় সাড়ে চার একর জমির উপর এই রাজ্য পশু হাসপাতাল গড়ে উঠেছিল বাম আমলে ৷ 2001-02 সাল পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবেই চলত হাসপাতালটি ৷ কিন্তু তার পর থেকেই অবহেলা এবং ঠিকঠাক অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় বেহাল দশা হয়ে দাঁড়ায় হাসপাতালটির ৷ আর বর্তমানে সেটি জঙ্গলে ঘেরা হানাবাড়ির আকার নিয়েছে ৷ চন্দননগর ছাড়াও, বৈদ্যবাটি, সিঙ্গুর, পোলবা ও শ্রীরামপুর থেকে লোকজন তাঁদের পোষ্যদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসে এই হাসপাতালে ৷

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চন্দননগর পশু হাসপাতাল যেন হানাবাড়ি

আরও পড়ুন : Street Dog : সিউড়ি পশু হাসপাতালে রক্তদান করল দুই পথ কুকুর, গ্রহীতা আরও দুই

তবে প্রায় সবারই অভিযোগ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে কোনও রকমে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয় পোষ্যদের ৷ বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে বলা হয় ৷ কারণ, হাসপাতালে ভাল ওষুধ পাওয়া দুস্কর ৷ গবাদি পশু অসুস্থ হলে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইনঞ্জেকশন পাওয়া যায় না ৷ এমনকি অভিযোগ, হাসপাতালের ছাদ থেকে চাঙর খসে পড়ে মাঝে মধ্যে ৷ হাসপাতালের জলের পাইপ লাইনও খারাপ ৷ কোনও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাই নেই ৷ আর এ সবের পিছনে একমাত্র কারণ, বাজেট বরাদ্দ না হওয়া ৷ নামমাত্র অর্থ বরাদ্দ হয় এই পশু হাসপাতালের জন্য ৷ ফলে যতদিন না সরকার এই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি ও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কৃপণতা না কমাবে, ততদিন এই বেহাল পরিস্থিতি কাটবে না বলে দাবি, সেখানে পোষ্যদের চিকিৎসা করাতে আসা লোকজন এবং হাসপাতালের কর্মীদের ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details