পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

নিজের 3 তলা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে আমফানের টাকা আত্মসাতের চেষ্টায় অভিযুক্ত প্রধান

অভিযোগ, গরলগাছা পঞ্চায়েত প্রধান নিজের স্ত্রীর নাম লিখিয়ে ত্রাণের টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত প্রধান মনোজ সিং ।

ছবি
ছবি

By

Published : Jun 18, 2020, 4:56 AM IST

শ্রীরামপুর, 17 জুন : তিনতলা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । এমনই কারণ দেখিয়ে নিজের স্ত্রীর নামে আমফানের ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে । অভিযুক্তের নাম মনোজ সিং । ঘটনা চণ্ডীতলা 2 নম্বর ব্লকের গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের । তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে BJP । প্রধানের ইস্তফা দাবি করেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশও ।

আমফানে যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের 20,000 টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে । অভিযোগ, গরলগাছার প্রধান মনোজ সিং নিজেই সেই টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছেন । নিজের তিনতলা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে, আমফান দুর্গতদের তালিকায় নিজের স্ত্রীর নাম ঢুকিয়ে দেন । ঘটনাটি জানাজানি হতেই স্থানীয় BJP নেতা-কর্মীরা সরব হয় । এরপরই ওই প্রধান BDO-র দ্বারস্থ হন । তাঁর স্ত্রীর নাম সহ মোট ৯২ জনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন BDO-কে ।

এবিষয়ে BJP নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, "আমফানের পর থেকে নানা খাতে ত্রাণের টাকা লুট হচ্ছে । গরলগাছা পঞ্চায়েতের প্রধানের তিনতলা বাড়ি না কি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তিনি আবার ত্রাণের টাকা পেয়েছেন । এটা তৃণমূল বলেই সম্ভব । প্রধানের বিরুদ্ধে FIR করার আবেদন করা হয়েছে । জানি না প্রশাসন কী করবে ? কেন্দ্রের কাছে এক লাখ কোটি টাকা চেয়েছে তৃণমূল । আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, এক লাখ কোটি টাকার মধ্যে কত কোটি টাকা তৃণমূলের পকেটে যাবে । পঞ্চায়েত নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের নেতারা সবাই সাধারণ মানুষের টাকা চুরি করছে । এর থেকে বড় দুর্নীতি হয়তো কিছুই হয়নি । পদত্যাগের কথা বললেও, প্রধান টাকাটা তো গুছিয়ে নিয়েছেন । তাঁর দেখাদেখি অনেকেই কাটমানি খাচ্ছেন ।"

এবিষয়ে হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া নিয়ে গরলগাছা পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয়েছে । ঘটনায়, প্রধান মনোজ সিংকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । তাতে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। জেলা প্রশাসনের তরফেও এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । দোষ প্রমাণ হলে, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে । যদিও এখনও পদত্যাগপত্র জমা দেননি গরলগাছার প্রধান।

এনিয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি ।

উল্লেখ্য, আজ চণ্ডীতলা 2 নম্বর ব্লকে 100 দিনের কাজ নিয়ে মিটিং করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রলয় মজুমদার ও শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী। ব্লকের সব পঞ্চায়েতের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু গরলগাছার প্রধান মনোজ সিংকে দেখা যায়নি । পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশের তরফে জানা গেছে, পঞ্চায়েত অফিসে আসাও বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details