হুগলি, 28 সেপ্টেম্বর: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে খুব বেশিদিন দেরি নেই ৷ কুমোরটুলি থেকে শুরু করে পুজোকে ঘিরে সকল শিল্পীরা ব্যস্ত ৷ থিমের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেবী উমার সাবেকি সাজ আকৃষ্ট করে সকলকে ৷ সাবেকিআনায় ডাকের সাজ অন্যতম ৷ সেই ডাকের সাজ বা শোলার সাজ তৈরির সঙ্গে যে সকল শিল্পী যুক্ত, পুজোর আবহ এলেও তাঁদের মুখে হাসি নেই ৷ কাঁচা শোলার ও শিল্পীর অভাবে বর্তমানে ধুঁকছে এই শিল্প ৷
হুগলির কাটোয়ার বন কাপাশি মালাকার গ্রামের কয়েকশো পরিবার শোলা শিল্পর সঙ্গে যুক্ত। শিল্পী প্রসাদ কুমার ঘোষ বলেন
"সরকারি ভাবে আর্থিক ঋণ দিয়ে সরকার সহযোগিতা করলে খুব ভালো হয়। এবছর বৃষ্টির অভাবে কাঁচা শোলার জোগানে খুব সমস্যা রয়েছে। নতুন শোলা এখনও আসেনি। গতবারের শক্ত শোলা দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহী নয়। অন্য জায়গায় কাজে চলে যাচ্ছে। নতুন করে শিল্পী তৈরি হচ্ছে না।"
সিঙ্গুরে চার প্রজন্ম ধরে শোলার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রথিন মালাকার। তিনিও দুর্গা-কালীর ডাকের সাজের কাজ করে থাকেন।তিনি বলেন, "পরবর্তী প্রজন্মের আর কেউ এই কাজে আগ্রহী নয়। এই কাজ করে খাওয়া-পড়া ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না।পরিবারের সকলে মিলে কাজ করি। সরকারি তরফে সাহায্য সহযোগিতা কিছু পাই না। কৃষক ও তাঁতিদের যেমন সরকারিভাবে সাহায্য করা হয় তেমন যদি আমাদের করা হয়, তাহলে এই শিল্পটা বেঁচে যায় ৷ আমরা বাঁচি ৷"