ডানকুনি, 15 সেপ্টেম্বর: সোনার দোকানে ডাকাতি (Dankuni Robbery) ৷ বিকেলের দিকে পাঁচ থেকে ছয়জন দুষ্কৃতী এদিন ওই সোনার দোকানে হানা দেয় ৷ সকলকেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ে। সেসময় দোকানে ক্রেতারা ছিলেন। তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয়। ব্যাগে গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাত দল। ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ডানকুনি থানা এলাকায় ৷
সূত্রের খবর, মোট তিনটি বাইক ছিল। খবর পেয়ে ডানকুনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করা হয়। জেলা জুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং। ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে নামে সিআইডি দল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার (Chandannagar Police Commissioner) অমিত পি জাভালগি জানান, ডাকাত দল ধরা পড়েছে উদ্ধার হয়েছে গয়না ও বাইক।
ডানকুনি পৌরসভার (Dankuni Municipality) 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এই ডাকাতির ঘটনায় সম্ভবত স্থানীয় কেউ জড়িত ৷ গোঘাটের কাছে ওরা যখন বাসে করে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল, সেই সময় এক বাস যাত্রীর সন্দেহ হয়। তারপরই ওই যাত্রী বাস আটকে পাঁচজনকে নামায়। তার মধ্যে একজন পালালেও চারজনকে আটকে রাখেন বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গোঘাট থানার পুলিশ এসে ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে ব্যাগ ভর্তি সোনার গহনা, দুটি বাইক ও বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ডানকুনিতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার চার দুষ্কৃতী আরও পড়ুন:আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পরপর ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার 6 দুষ্কৃতী
পুলিশের দাবি তাদের সহায়তায় ডাকাতরা ধরা পড়েছে ৷ চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, "ডাকাত দলের ছবি-সহ বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মীর সহায়তায় চারজনকে ধরা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে ৷