বনগাঁ, 6 অগস্ট : মাধ্যমিকের মার্কশিট হাতে পায়নি 7 জন ছাত্র ৷ এর জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়া ও তার অভিভাবকেরা ৷ দীর্ঘ সময় ফর্মের রসিদ, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে স্কুল গেট আটকে দাঁড়িয়েছিল তারা । বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে ।
করোনার কারণে এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি । নবম শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পড়ুয়াদের মার্কশিট তৈরি হয়েছে। এ বছর একশো শতাংশ পড়ুয়া মাধ্যমিকে পাশ করেছে । কিন্তু নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের 7 জন পড়ুয়ার রেজাল্ট আসেনি ।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বৈদ্য জানিয়েছেন, 2021-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসেবে এই 7 জন ছাত্র ফর্ম ফিল আপ করতে এসেছিল ৷ ছাত্ররা নির্দিষ্ট ফি জমা দিলেও কনসোলিডেটেড ফর্মে সই না করে বাড়ি চলে যায় ৷ এর জন্য করণীকদের দায়ী করে তিনি বলেন, "এটা ক্লার্কদের মারাত্মক ত্রুটি ৷ তাঁরা যদি ফি বইয়ের কাউন্টার ফয়েল হিসেব করত, তাহলে ভুলটা তখনই ধরা পড়ত ৷ কিন্তু চালান কাটার সময় কনসোলিডেটেড ফর্ম, যেখানে ছাত্রদের সই থাকে, সেই হিসেবে চালান কাটার ব্যবস্থা করে ৷" এর ফলে 20 জন ছাত্র যারা ফর্ম ফিল আপ করতে আসেনি, তাদের সঙ্গে এই 7 জন ছাত্রকেও একই তালিকাভুক্ত করা হয় ৷ 27 জনের মধ্যে 7 জন ফি দিয়েছে, সেটা পরীক্ষা করে দেখেননি ক্লার্করা ৷ এই পরিস্থিতিতে চালান অনুযায়ী পোর্টালে নাম পান প্রধান শিক্ষক ৷ মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী হিসেবে 169 জনের চালান কাটা হয়েছিল স্কুল থেকে ৷ 7 জনের নাম পাঠানো হয়নি রেজাল্টের জন্য ৷ তাই তাদের মার্কশিট আসেনি ৷ এর জন্য স্কুলের ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, "ভুলটা ক্লার্কের, দায়টা আমার ৷" কিন্তু আর কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ৷