শিলিগুড়ি, 16 জুন : জামাই ষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে পাত পেড়ে জামাই আদর খাওয়ার রেওয়াজ পুরানো ৷ বর্তমানে আবার অনেক বাড়িতেই রেওয়াজ শুরু হয়েছে বৌমা ষষ্ঠীর ৷ কিন্তু জামাই ষষ্ঠীর দিন শ্বশুড়বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন বৌমা, এমনটা শোনা যায় না । শিলিগুড়ির ঘোঘোমালির বাদুরবাগানের এমন ঘটনাতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায় ৷
শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক সঞ্জীব ঘোষ । সঞ্জীবের সঙ্গে তিন বছর আগে প্রেম করেই বিয়ে হয় শ্বেতার ৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই কাকিমার সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা দেখে অবাক হয়ে যান শ্বেতা । অভিযোগ, সম্পর্কে বাধা দিতে গেলে শুরু হয় মূল সমস্যা ৷ কাকিমা সঞ্জীব ঘোষকে রোজ বাড়িতে মদ্যপান করাতেন বলেও অভিযোগ শ্বেতার । সম্পর্কে বাধা দিতে গেলে একাধিকবার মারধর করা হয় শ্বেতাকে ৷ এই নিয়ে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি । বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করায়, সাতদিন জেলও খাটতে হয় বিজেপি নেতাকে । 7 জুন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন সঞ্জীব । কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরেই, ফের সংসার করার দাবিতে শ্বশুড়বাড়ি ফিরে আসেন শ্বেতা ৷ কিন্তু তাঁকে বাধা দেওয়া হয় ৷ এরপরই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন শ্বেতা ঘোষ । যদিও শ্বেতার দাবি মানতে নারাজ স্বামী সঞ্জীব । শ্বেতা ঘোষ বলেন, "বিয়ের পর কাকি শাশুড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আমি আপত্তি করি । এরপরই আমার উপর অত্যাচার শুরু হয় । আমাকে মারধর করা হয় । আমি সংসার করতে চাই । কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা আমাকে বাধা দিচ্ছে ।"