শিলিগুড়ি, 24 সেপ্টেম্বর : শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর মন্তব্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর রাজ্য প্রশাসন, রাজভবন কারও কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয় ৷ কেবল মাত্র শিক্ষক, উপাচার্য, সহ-উপাচার্যরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন ৷ তাঁরা মুক্ত-স্বাধীনভাবে কাজ করবেন ৷
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে বারবারই খবরের শিরোনামে পশ্চিমবঙ্গ ৷ কখনও বাম ছাত্র সংগঠনের দাপাদাপি, কখনও রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, আবার কখনও গেরুয়া শিবিরের প্রবেশ ৷ রাজনৈতিক দলাদলিতে শুধু বিতর্ক নয় রক্ত পর্যন্ত ঝড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৷ রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে পড়ে আক্রান্ত হয়েছে শিক্ষক-অধ্যাপক থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষাকর্মীরাও ৷ এমন কী লাঞ্ছিত হতে হয়েছে ছাত্রীদেরও ৷ জখম হয়েছেন বহু ছাত্র ৷ বারেবারে নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ৷ সম্প্রতি হুগলি জেলার এক কলেজে ছাত্র সংগঠনের মাঝে পড়ে আহত হয়েছিলেন এক শিক্ষক ৷ আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ছাত্রদের সমবেত প্রতিবাদের সামনে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে৷ যে প্রতিবাদ ক্রমে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছিল৷ ছাত্রদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়েছিল যে ছাত্র-নিগ্রহের হাত থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাঁচাতে ঘটনাস্থানে যান স্বয়ং রাজ্যপাল ধনকড় ৷ শুধু যাদবপুর নয়, সাম্প্রতিক অতীতে কখনও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কখনও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, আবার কখনও বিদ্যাসাগর কলেজে শিক্ষক এবং অধ্যাপকরা ছাত্রদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন ৷ এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ বললেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই কাম্য নয় ৷