পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার পরামর্শ রাজ্যপালের - sfi

শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর ব্যাখ্যা, রাজ্য প্রশাসন বা রাজভবন কারও নিয়ন্ত্রণই শিক্ষাঙ্গনে থাকা বাঞ্ছনীয় নয় ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাবেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ৷

শিক্ষাঙ্গনকে বাম রাজনীতি মুক্ত করার পরামর্শ ধনকড়ের

By

Published : Sep 24, 2019, 10:07 PM IST

Updated : Sep 24, 2019, 11:39 PM IST

শিলিগুড়ি, 24 সেপ্টেম্বর : শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর মন্তব্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর রাজ্য প্রশাসন, রাজভবন কারও কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয় ৷ কেবল মাত্র শিক্ষক, উপাচার্য, সহ-উপাচার্যরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন ৷ তাঁরা মুক্ত-স্বাধীনভাবে কাজ করবেন ৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে বারবারই খবরের শিরোনামে পশ্চিমবঙ্গ ৷ কখনও বাম ছাত্র সংগঠনের দাপাদাপি, কখনও রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, আবার কখনও গেরুয়া শিবিরের প্রবেশ ৷ রাজনৈতিক দলাদলিতে শুধু বিতর্ক নয় রক্ত পর্যন্ত ঝড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৷ রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে পড়ে আক্রান্ত হয়েছে শিক্ষক-অধ্যাপক থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষাকর্মীরাও ৷ এমন কী লাঞ্ছিত হতে হয়েছে ছাত্রীদেরও ৷ জখম হয়েছেন বহু ছাত্র ৷ বারেবারে নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ৷ সম্প্রতি হুগলি জেলার এক কলেজে ছাত্র সংগঠনের মাঝে পড়ে আহত হয়েছিলেন এক শিক্ষক ৷ আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ছাত্রদের সমবেত প্রতিবাদের সামনে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে৷ যে প্রতিবাদ ক্রমে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছিল৷ ছাত্রদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়েছিল যে ছাত্র-নিগ্রহের হাত থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাঁচাতে ঘটনাস্থানে যান স্বয়ং রাজ্যপাল ধনকড় ৷ শুধু যাদবপুর নয়, সাম্প্রতিক অতীতে কখনও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কখনও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, আবার কখনও বিদ্যাসাগর কলেজে শিক্ষক এবং অধ্যাপকরা ছাত্রদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন ৷ এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ বললেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই কাম্য নয় ৷

রাজ্যপাল তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত সব থেকে বেশি ৷ সেখানে রাজভবন বা রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না ৷ তারা হস্তক্ষেপ করবে না, তার নীতি নির্ধারণ করবে না , তারা কতৃত্ব করবে না ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ৷

রাজ্যপাল যে রাজনীতি মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখছেন তা কি সত্যিই বাস্তবের রূপ পেতে পারে ? দেশের ইতিহাস বলছে, ছাত্র রাজনীতিই বারবার দেশকে একাধিক শীর্ষ নেতা উপহার দিয়েছে ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি রাজনীতি না থাকে তাহলে কি এই গতিপথ অব্যাহত থাকবে ? সেই প্রশ্ন কিন্তু অবশ্যই থাকছে ৷ তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যপাল সম্ভবত রাজনৈতিক দলাদলি-হিংসা মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই সওয়াল করেছেন আজ ৷ যা কোনওভাবেই ছাত্র রাজনীতি বিরুদ্ধ নয় বরং তা সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিকাঠামোর দিকেই ইঙ্গিত করছে ৷ বরং রাজ্যপাল আজ বোঝাতে চেয়েছেন রাজনৈতিক দলাদলি, অবাঞ্ছিতভাবে রাজনৈতিক নেতাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছে রাজ্যপাল ৷

Last Updated : Sep 24, 2019, 11:39 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details