শিলিগুড়ি, 9 অক্টোবর :পুজোর মুখে আবারও ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার দুই চিনা নাগরিক ৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র ৷ ঘটনায় উদ্বেগ বেড়ে দার্জিলিং পুলিশ প্রশাসনের ৷ চিন্তার ভাঁজ সেনা আধিকারিকদের কপালেও ৷
আরও পড়ুন :Chinese citizen Arrested: ফের ইন্দো-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার চিনা নাগরিক
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন খড়িবাড়ি ব্লকের ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া পানিট্যাঙ্কি থেকে দুই চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করেন সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) 41 নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ৷ প্রাথমিকভাবে ধৃতরা জানায়, তাদের নাম তামদিন শেরিং ও কারমা গেলেক ৷ তারা নিজেদের হিমাচলপ্রদেশের খানিয়ারার বাসিন্দা বলে দাবি করে ৷ কিন্তু, ধৃতদের আচরণে সন্দেহ হয় জওয়ানদের ৷ শেষমেশ তাঁদের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সন্দেহভাজনরা ৷ জানা যায়, তারা আদতে চিনের নাগরিক ৷
পুলিশ বা এসএসবি, কোনও তরফে ধৃতদের আসল নাম জানানো হয়নি ৷ তবে সূত্রের দাবি, ধৃত দুই যুবক বাল্যবন্ধু ৷ আদতে চিনের নাগরিক হলেও হিমাচলপ্রদেশের একটি স্কুলে তারা পড়াশোনা করত ৷ দু’সপ্তাহ আগে দুই বন্ধু বাসে দিল্লি থেকে কাঠমাণ্ডু পৌঁছয় ৷ পরে সীমান্ত পেরিয়ে ফের ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে ৷ তখনই এসএসবির নজরে পড়ে যায় অভিযুক্তরা ৷ পরে ধৃতদের খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ভারতের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছে ৷ যার সবক’টাই ভুয়ো বলে দাবি পুলিশের ৷ এছাড়া, এক অভিযুক্তের কাছ থেকে নেপালি মুদ্রায় 38 হাজার টাকা এবং অন্যজনের কাছ থেকে নেপালি মুদ্রায় সাড়ে তিন হাজার এবং ভারতীয় মুদ্রায় দেড় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি মিলেছে আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ ৷ যা দেখে পুলিশের অনুমান, ধৃতদের পরিবারের বাকি সদস্যরা থাকেন হংকংয়ে ৷
আরও পড়ুন :বিচারবিভাগীয় হেফাজতে হান, গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ জোরালো
প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজন মাত্র চার হাজার টাকার বিনিময়ে দিল্লিতে এক দালালের মাধ্যমে ভুয়ো আধার কার্ড-সহ অন্য়ান্য ভুয়ো নথি তৈরি করায় ৷ এসএসবিরর হাতে ধরা পড়ার পর নিজেদের তিব্বতী শরণার্থী বলেও দাবি করেছিল দুই যুবক ৷ কিন্তু, তার কোনও প্রমাণ তাদের কাছে ছিল না ৷ উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসেও একইভাবে দুই চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল এসএসবি ৷