শিলিগুড়ি, 10 জুলাই : করোনার দাপট কিছুটা কমতেই পর্যটকদের সিকিমে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরও কিছুটা শিথিল করল সে রাজ্যের সরকার ৷ এবার থেকে পরিবারের একজন মাত্র সদস্যের করোনা টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলেই ওই পরিবারের সমস্ত সদস্য সিকিমে ঢুকতে পারবেন ৷ সেক্ষেত্রে পরিবারের বাকিদের একটি ডোজ নেওয়া থাকলেই চলবে ৷ 18 বছরের কম বয়সীদের টিকা না দেওয়া হলেও তারা বাড়ির প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে সিকিমে বেড়াতে যেতে পারবে ৷ সিকিম সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি এ রাজ্যের, মূলত উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ৷
আরও পড়ুন :করোনার ছোবল এড়িয়ে পর্যটকদের হাতছানি সিকিমের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিকিম পর্যটন দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছিল, কোভিড টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলেই ঢোকা যাবে সিকিমে ৷ সেক্ষেত্রে পর্যটকদের আর কোনও নথি বা আরটিপিসিআর রিপোর্ট নিয়ে ঘুরতে হবে না ৷ মাল্লি ও রংপো চেকপোস্টে করোনা টিকার শংসাপত্র দেখালেই পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে ৷
এরপর গত বৃহস্পতিবার পর্যটন সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী বেদু সিং পন্থের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং (গোলে)। বৈঠকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন পর্যটকদের সিকিমের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরও শিথিল করা হবে ৷ সেই মতোই জারি করা হয় নয়া নির্দেশিকায় ৷
সিকিম পর্যটন বিভাগের জারি করা এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা টিকার একটি ডোজ নেওয়া থাকলেও সিকিমে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে ৷ তবে পরিবারের কোনও একজন সদস্যকে কোভিড টিকার দু’টি ডোজই নিতে হবে ৷ বাকিদের জন্য একটি ডোজই যথেষ্ট ৷ পাশাপাশি, 45 বছরের নীচে যাঁদের বয়স তাঁরাও একটি মাত্র ডোজ নিয়েই সিকিমে ঢুকতে পারবেন ৷ তবে সেক্ষেত্রে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট পর্যটকের সঙ্গে থাকতে হবে ৷ সিকিমে ঢোকার সর্বাধিক 72 ঘণ্টা আগে করা পরীক্ষার রিপোর্টই এক্ষেত্রে গ্রাহ্য করা হবে ৷ এছাড়া, 18 বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের শুধুমাত্র আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেই হবে ৷
সিকিম সরকারের পদক্ষেপে খুশি এ রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷ আরও পড়ুন :করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসা, সাহায্যের আবেদন রাজ্য সরকারের কাছে
করোনা আবহে সিকিম সরকার পর্যটনকে সচল করতে এমন পদক্ষেপ করায় খুশি এ রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷ তাঁদের মতে, যেভাবে করোনাবিধি মেনে পর্যটকদের সিকিমের ঢোকার অনুমতি দেওয়া আছে, তাতে পুজোর মরশুমের আগেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন শিল্প কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ৷