দার্জিলিং, 6 মার্চ: রাতের অন্ধকারে বালাসন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি ও পাথর খনন করতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন কিশোরের (Three Boys Die in Balason River Bed Collapse) ৷ আহত অবস্থায় আরও এক কিশোরকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানো হয়েছে ৷ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি শহরে ৷ পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ৷ কীভাবে রাতের অন্ধকারে পুলিশের নজর এড়িয়ে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে অবৈধভাবে নদী খনন চলছিল ? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ গোটা বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালি ও পাথর খননে যুক্তদের সঙ্গে যোগসাজস থাকার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা (Illegal Sand Mining in Siliguri) ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীখাতে চাপা পড়ে মৃত কিশোরদের নাম রোহিত চৌহ্বান (15) , শ্যামল সাহানি (15) ও মনু কুমার (16)। এরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বানিয়াখাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ৷ সকালে পুলিশ সেই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আর্থার মুভার দিয়ে ধস সরিয়ে চারজনকে উদ্ধার করে ৷ তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ জখম একজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ পুলিশ বাকি তিন কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ৷ এই ঘটনার খবর পেয়ে বালাসন নদীখাত এলাকা পরিদর্শন করতে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ নদীখাত ৷ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু শ্রমিক ৷ কিন্তু, রাতের অন্ধকারে দেদার চলছিল নদী থেকে অবৈধ খনন ৷ তার উপর সামনেই দোল উৎসব ৷ সেই কারণে অবৈধ খনন বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এদিন রাতে গণেশ সর্দার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই চার কিশোরদের নিয়ে নদী খনন করতে যান বলে অভিযোগ ৷ রাত 2 টো নাগাদ সবাই ফেরতও চলে আসে ৷ পরে আবার ওই ব্যক্তি অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যায় ওই 4 কিশোরকে ৷