শিলিগুড়ি, 17 নভেম্বর :মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে খুলে গিয়েছে স্কুল ৷ শুরু হয়েছে পঠনপাঠন ৷ এরই মধ্যেই উঠল নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ৷ সেইসঙ্গে, স্কুল শুরুর দ্বিতীয় দিন থেকেই চোখে পড়ার মতো কমে গেল পড়ুয়াদের উপস্থিতি ৷ ক্লাসে গিয়ে দেখা মিলল না শিক্ষকদেরও ৷ এই ছবি ধরা পড়েছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকদইবাড়ির হাতিয়াডাঙ্গা হাইস্কুলে ৷
আরও পড়ুন :School Reopening: অনলাইন থেকে অফলাইনে ফেরা, খুশি পড়ুয়া-শিক্ষকরা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার স্কুল খোলা নিয়ে পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল প্রবল ৷ ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল 70 থেকে 80 শতাংশ ৷ কিন্তু, বুধবার থেকেই সংখ্যাটা মারাত্মক কমে যায় ৷ পাশাপাশি, স্কুলের করোনাবিধি পালনের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও ব্যবস্থা দেখা গেল না ৷
স্কুল খুললেও কমেছে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ৷ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণিতে মোট পড়ুয়া রয়েছে 103 জন ৷ বুধবার তাদের মধ্যে মাত্র 42 জন স্কুলে এসেছিল ৷ অন্যদিকে, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়ার সংখ্যা 55 ৷ বুধবার স্কুলে আসে মাত্র 23 জন ৷ স্কুলে মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা পাঁচ ৷ আর রয়েছেন একজন শিক্ষাকর্মী ৷ এদিন চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে উপস্থিত ছিলেন ৷ কিন্তু কাউকেই ক্লাসে দেখা যায়নি ৷ শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, একটি ক্লাসের সময় শেষ হয়ে গেলেও যতক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী শিক্ষক ক্লাসে না আসবেন, তৎক্ষণ ক্লাস থেকে তিনি বের হতে পারবেন না ৷ কিন্তু এই স্কুলে সেসবের কোনও বালাই নেই ৷
স্কুলের এক ছাত্রের কথা থেকে বোঝা গেল, স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হলেও ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে না ৷ দীর্ঘক্ষণ ক্লাসে কোনও শিক্ষক থাকছেন না ৷ তাছাড়া, ছাত্রদের মাস্ক, স্যানিটাইজার বাড়ি থেকে আনতে হচ্ছে ৷ স্কুলে এসবের কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ পাশাপাশি, টহলদারির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় শারীরিক দূরত্ববিধিও সবসময় মানা হচ্ছে না ৷
আরও পড়ুন :Siliguri School Reopen: গড়ে 80 শতাংশ উপস্থিতি, শিলিগুড়িতে স্কুল খুলতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙল পড়ুয়াদের
প্রধান শিক্ষক কৌশিক বাগচী জানিয়েছেন, তিনি সকলকে কঠোকভাবে মাস্ক পরে থাকতে বলেছেন ৷ তবে এই স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়াই গ্রাম থেকে আসে ৷ তারা অনেকেই এখন মাঠে চাষের কাজে ব্যস্ত ৷ সেই কারণেই হয়তো সাময়িক হাজিরা কম আছে ৷ আর শিক্ষকদের ক্লাসে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য হল, স্কুলে সারাইয়ের কাজ চলছে ৷ ক্লাসের ফাঁকেই সেসবের দেখভাল করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৷ তাছাড়া, প্রয়োজনের তুলনায় স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষিকার সংখ্যাও অত্যন্ত কম বলে জানিয়েছেন তিনি ৷