জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বিচারাধীন বন্দীর, ভরতি নিল না হাসপাতাল
ওই বিচারাধীন বন্দীকে চিকিৎসার জন্যে আজ সকালে সংশোধনাগারের কর্মীরা প্রথমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন । সেখানে ওই বন্দীকে ভরতি না নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।
শিলিগুড়ি, 23 মে: জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে শিলিগুড়ি সংশোধনাগারের বিচারাধীন এক বন্দী । তাকে চিকিৎসার জন্য SARI হাসপাতালে পাঠানো হলেও সেখানে ভরতি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । বন্দীর সঙ্গে পাহারাদার রাখার পরিকাঠামো নেই জানিয়ে পরপর দুবার ওই বন্দীকে ফেরত পাঠানো হয় ।
ওই বিচারাধীন বন্দীকে চিকিৎসার জন্যে আজ সকালে সংশোধনাগারের কর্মীরা প্রথমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন । সেখানে ওই বন্দীকে ভরতি না নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এরপর তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে নিয়ে যান সংশোধনাগারের কর্মীরা । কিন্তু সেখানেও তাকে ভরতি নেওয়া হয়নি । জানিয়ে দেওয়া হয়, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর থাকায় ওই বন্দীকে ভরতি নেওয়া যাবে না । তাকে নিয়ে যেতে হবে মাটিগাড়ার কাওয়াখালিতে সরকার অধিগৃহীত হাসপাতালে । সেখান থেকেও তাকে ভরতি না নিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয় । এরপর সংশোধনাগারের কর্মীরা ওই বন্দীকে নিয়ে ফের জেলা হাসপাতালে যান । কিন্তু ফের তাকে ফিরিয়ে দেয় জেলা হাসপাতাল । একইভাবে ফের মাটিগাড়ার কাওয়াখালিতে সরকার অধিগৃহীত হাসপাতাল থেকেও ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় । দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর জেলা সুপার কৃপাময় নন্দীর হস্তক্ষেপে শনিবার সন্ধ্যায় ওই বন্দীকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । অবশেষে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাকে ভরতি নেয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ।
জেল সুপার কৃপাময় নন্দী বলেন, "বন্দীর সঙ্গে পাহারাদার রাখার পরিকাঠামো নেই বলে জানিয়েছিল দিশান কর্তৃপক্ষ । অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ জানিয়েছিল কোরোনা উপসর্গ থাকায় বন্দীকে SARI হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে । এই কারণেই সমস্যা হয় । দিনভর এই পরিস্থিতির পর রাতে আমরা তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভরতি করেছি ।" এ নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, "ঠিক কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি ।"