দার্জিলিং, 28 জানুয়ারি:বন বিভাগের অভিযানে উদ্ধার প্রায় আড়াই কোটির সিন্ধুঘোটক (Seahorse Worth Crores Recovered) বা সি-হর্স। নেপাল হয়ে চিনে পাচারের আগে নকশালবাড়ির গ্রামে মজুত রাখা হয়েছিল প্রায় সাড়ে আট কেজি মৃত সিন্ধুঘোটক। অভিযান চালিয়ে ওই মজুত রাখা মৃত সিন্ধুঘোটক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর (Forest Department)। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি ব্লকে অভিযান চালিয়ে কার্শিয়াং বন বিভাগের ঘোষপুকুর, টুকুরিয়াঝার রেঞ্জ ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে প্রায় পাঁচ কেজি মৃত সিন্ধুঘোটক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ফৈয়জ আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে আরও নতুন তথ্য। এরপর ফের একবার অভিযানে নামে বন দফতর। এবার উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে আট কেজি বিলুপ্ত প্রায় মৃত সিন্ধুঘোটক বা সি-হর্স। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশপাশি পলাতক রয়েছে একজন।
প্রাথমিকভাবে বনকর্মীরা মনে করছেন, পলাতক অভিযুক্ত এই পাচারচক্রের মূল চক্রী ৷ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। একের পর এক অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় মৃত সিন্ধুঘোটক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই পাচার চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানতে মরিয়া বনদফতর। প্রাথমিকভাবে বনদফতর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে কিছুটা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এবার বাকি অংশ বাজেয়াপ্ত করা হল বিশেষ অভিযানে।নতুন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নকশালবাড়ির রাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনোজ রায়ের বাড়ি থেকে ওই সিন্ধুঘোটক বা সি-হর্স বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:চিনে পাচারের আগে নকশালবাড়িতে উদ্ধার কোটি টাকা মূল্যের মৃত সিন্ধুঘোটক
যদিও মনোজের খোঁজ মেলেনি। তবে এই ঘটনাতেই পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে দার্জিলিঙের রঙ্গীত চা বাগান এলাকার বাসিন্দা জীবন থাপা, জোরবাংলোর বাসিন্দা সুজিত তামাং এবং নকশালবাড়ির উত্তর রথখোলার বাসিন্দা কঙ্কন রাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে প্রায় সাড়ে আট কেজি মৃত সিন্ধুঘোটক বা সি-হর্স বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় এবার মনোজের খোঁজ শুরু করেছে বন দফতর। এ বিষয়ে বনদফতরের কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও ড: হরিকৃষ্ণণ পিজে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চলছে।"