শিলিগুড়ি, 5 জুন : "হাতির পিঠ থেকে দু তিনিটে পিঁপড়ে পড়ে গেলে হাতির কিছু যায় আসে না ।" বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগের জল্পনায় এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ।
কয়েকদিন আগে ফেসবুক পোস্টে বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় ৷ এরপর মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এতে ফের একবার মুকুল ও শুভ্রাংশুর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যাওয়া একাধিক নেতানেত্রীরা ফের ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে শুরু করেছেন । এতে বেশ চিন্তায় বিজেপি শিবির । এতে দলের উপর কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে এখনই প্রহর গুনতে শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় থেকে রাজ্য নেতৃত্ব । তবে বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশামতো ফল না করতে পারায় যে গেরুয়া শিবিরের এই পরিস্থিতি, তা স্পষ্ট ৷
আরও পড়ুন : অভিষেকের ‘মাতৃসমা’ মুকুল-পত্নী, মা আবেগেই কি রাজ্য রাজনীতির নয়া সমীকরণ ?
তবে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এসবকে পাত্তা দিতে নারাজ ৷ তিনি বলেছেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খুব ভাল ফলাফল করেছে । সেইমতো খুব বেশি মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়নি । ফলে বিধানসভা নির্বাচনের পর যে খুব বেশি মানুষ দল ছাড়বেন না । শুভ্রাংশু দল ছাড়বেন বা অন্য দলে যোগ দেবেন কিনা জানা নেই । তিনি এখনও বিজেপিতেই আছেন বলে জানি । যখন করবেন তখন দেখা যাবে ।" তিনি বলেন, "বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে 1 কোটি 10 লাখের পার্টি ৷ আমরা 2 কোটি 28 লাখ ভোট পেয়েছি ৷ তাই বিজেপি থেকে এক, দুজন চলে গেলে কোনও ফারাক পড়বে না ৷ হাতির পিঠ থেকে দু তিনটে পিঁপড়ে ঝরে পড়ে গেলে হাতি বুঝতেও পারে না ৷ সেরকমভাবে বিজেপির উপর কোনও প্রভাব পড়বে না ৷"
শনিবার সকালে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের বাঘাযতীন কলোনি, প্রধাননগর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে গরীব দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল । সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ৷ এছাড়া ছিলেন শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রাজু সাহা সহ অন্যান্যরা ।