শিলিগুড়ি, 28 সেপ্টেম্বর: রেশন দোকান থেকে মদ বিক্রির অনুমতি চেয়ে কেন্দ্র ও দেশের প্রত্যেক রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ রেশন ডিলাররা (Ration Dealer)।
ইতিমধ্যে সেই দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের সচিব, দেশের প্রত্যেক রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্যবন্টন মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সচিব, কেন্দ্রীয় উপভোক্তা মন্ত্রী এবং প্রত্যেক রাজ্যের ফুড কমিশনারকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (All India Fair Price Shop Dealers' Federation)।
মূলত রেশন বন্টনে কমিশনের অভাবে ডিলারদের আর্থিক অনটন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার উপর করোনাকালে রেশন ব্যবস্থা ডিলারদের আরও সমস্যার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেশন ডিলারদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থা ও রেশন ডিলারদের সমস্যা সমাধানে সরকার অনুমোদিত দোকান থেকে মদ কিনে যদি রেশন দোকান থেকে বিক্রি করার ছাড়পত্র দেয় তবে অনেকটাই সুরাহা হবে (Ration Dealers Approach to Central and State Govt) ।
মদ বিক্রির অনুমতি চেয়ে দাবি জানিয়েছে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন আরও পড়ুন:গরিবের জন্য বিনামূল্যে রেশনের মেয়াদ বাড়ল তিনমাস, ঘোষণা কেন্দ্রের
এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সহকারি সম্পাদক সব্যসাচী সরকার বলেন, "রেশন দোকান থেকে মদ বিক্রি করতে দিলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হয়। তবে রেশন দোকানগুলিকে যদি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর করা যায় তবে আরও বেশি ভালো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখুক ।"
কেন্দ্র ও দেশের প্রত্যেক রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ রেশন ডিলাররা করোনাকালে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি যেভাবে ভেঙে পড়েছিল তাতে সামাল দিতে রাজ্যের অস্ত্র হয়েছিল মদ। মদের উপর অতিরিক্ত কর চাপিয়ে সাময়িকভাবে রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিকাঠামো কিছুটা হলেও ঠিক করেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী লকডাউনের সময় আবগারি দফতর মারফত মদ হোম ডেলিভারি ব্যবস্থাও চালু করেছিল রাজ্য সরকার ৷ এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার রেশন দোকান থেকে মদ বিক্রির অনুমোদন দিলে রেশন ডিলারদের অনেকটাই সমস্যার সমাধান হবে। রাজ্যে প্রায় 20 হাজার 271 জন রেশন ডিলার রয়েছেন। পাশাপাশি দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ রেশন ডিলার রয়েছেন। রেশন দোকানের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে 16 লক্ষ কর্মী কাজ করে থাকেন।