দার্জিলিং, 20 মে : জিটিএ নির্বাচন নিয়ে আদালতের রায়ের পর কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেয়েছে বিরোধী শিবিরে ৷ রাজ্য সরকারকে জিটিএ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারুপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 21 জুন হবে ৷ যার পরে পাহাড়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষত, জিএনএলএফ, ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদের স্বস্তির হাওয়া (Oppositions are Happy with Calcutta HC Verdict Over GTA Election) ৷
তবে, রাজ্য সরকার চাইলে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে নিতে পারবে ৷ সেই ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে ৷ তবে, নির্বাচন করালেও, জিটিএ-র ফলপ্রকাশ করা যাবে না ৷ কারণ জিটিএ’র বিধি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি বাকি রয়েছে ৷ সেই মামলার সঙ্গেই আগামী 21 জুন জিটিএ নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে ৷ রাজ্য সরকার যদি নির্বাচন করিয়ে নেয় ৷ তাহলে এই সব মামলার শুনানির রায় ঘোষণার পরেই, সেই নির্বাচনের ফলপ্রকাশ করা যাবে ৷
আরও পড়ুন : HC on GTA Election : জিটিএ-র নির্বাচনী ফলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে হাইকোর্টের রায়ের উপর
ফলে না রাজ্য সরকার আর না বিরোধী, কেউই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি আদালতে ৷ এ নিয়ে দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নিরজ জিম্বা জানিয়েছেন, ‘‘জিটিএ নিয়ে আইনগত সমস্যা রয়েছে ৷ সুভাষ ঘিসিংয়ের সময়ের দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের প্রশাসনিক ও আইনি জটের সমাধান হয়নি ৷ তা না করেই 2011 সালে জিটিএ গঠন করা হয়েছিল। অনেক বিভাগ হস্তান্তর করা হয়নি ৷ ফলে জিটিএ নিয়ে একাধিক আইনি সমস্যা রয়েছে ৷ আর একটা নির্বাচন সংগঠিত করতে গেলে রাজ্যের টাকা ও উৎস প্রয়োজন হবে ৷ সেই অবস্থায় রাজ্য সরকার আদউ রয়েছে কি ? সেটাও জানাতে বলা হয়েছে সরকারকে ৷ আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল যে, জিটিএ নির্বাচন স্থগিত করা হোক ৷ নির্বাচন ঘোষণা হলে তা আদালত স্থগিত করে দিত ৷ যেহেতু নির্বাচন ঘোষণা হয়নি সেজন্য পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলেছে ৷’’
আদালতের রায়ের পরই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং ৷ তিনি সেখানে জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন, জিটিএ নির্বাচন না করে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পদক্ষেপ করুন ৷’’ পাশাপাশি, আদালতের ওই রায়ের জন্য শরিক বিজেপি এবং সাংসদ রাজু বিস্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।