শিলিগুড়ি/কালিম্পং, 21 নভেম্বর: ভুস্বর্গ কাশ্মীরে নয় । এ বার উত্তরবঙ্গের মাটিতে চাষ হবে 'নাইটিঙ্গল অফ কাশ্মীর'-এর । গবেষণার মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে বাজিমাত করে দেখিয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । আর সেই পরীক্ষায় সফলতা মিলতেই এ বার কেশর চাষে কৃষকদের জন্য নতুন দিশা দেখাতে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ (সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট)।
কোফাম বিভাগের ওই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের পাশাপাশি পাহাড়েও চাষে মিলেছে সফলতা । কালিম্পঙে পরীক্ষামূলকভাবে কেশর চাষে সাফল্য এসেছে । সুদূর কাশ্মীর থেকে বীজ এনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের গবেষণাগার ও পাহাড়ে শুরু হয়েছিল পরীক্ষামূলকভাবে চাষ । আর তাতেই সেই অসাধ্য সাধন করেছে কোফাম ।
বড় জমি নয় । 100 বর্গফুটের একটি ঘর থাকলেই কেশর চাষ করে মাসে আয় করা যাবে লক্ষ লক্ষ টাকা । আগামীতে কেশর চাষের মধ্যে দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের আয়ের নতুন পথ দেখাতে চলেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । গোটা দেশের মধ্যে এই প্রথম গবেষণাগারে কেশর চাষ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম ডিপার্টমেন্ট । মিলেছে সাফল্যও । একইভাবে কালিম্পংয়েও পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে 15 দিনেই মিলেছে সফলতা । কালিম্পংয়ের আপার ইচ্ছের দাঁড়াগাঁওয়ে আশিটি বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাব চাষ করা হয় ।
স্যাফ্রন অর্থাৎ কেশর চাষ হয় মূলত ভারতের জম্মু কাশ্মীরে । কিন্তু পরীক্ষার জন্য কাশ্মীর থেকে কেশরের 100 টি ব্ল্যাব (চারা গাছ) নিয়ে এসে প্রাথমিকভাবে তিনটি পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন কোফাম বিভাগের আধিকারিকরা । একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শুরু হয় চাষ । একটি কালিম্পঙের জমিতে এবং অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরের পোলি হাউসে হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে শুরু করা হয় ।