দার্জিলিং, 16 এপ্রিল : কাকিমাকে ধর্ষণের চেষ্টা (Nephew Accused Raping Anuty)। ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ নির্যাতিতা মহিলার। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ভাইপোকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আয়ুষ থাপা। তার বাড়ি দার্জিলিং সদর এলাকাতেই। ওই ঘটনার পরই কার্শিয়াং থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী সংগঠন। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবিতে শনিবার থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপিও দেয় তারা। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের দীর্ঘদিনের বিবাহিত বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যার জেরেই ওই ঘটনা বলে মনে করছে অনেকে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়ি এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় অচৈতন্য ও রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলাকে উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা ।
এরপরই স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে। দার্জিলিং সদর থানার পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকেই মহিলার পরিচয় পেয়ে খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। আরও জানা গিয়েছে, পেশায় ওই মহিলা আশাকর্মী। শুক্রবার রাতে ওই মহিলা কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথেই কার্শিয়াং রেল স্টেশনের কাছে আয়ুষ থাপা মহিলাকে নিজের গাড়িতে তোলে। এরপর মহিলাকে নিয়ে পাঙখাবাড়ি রাস্তা দিয়ে মকাইবাড়ি চা বাগানের শুনশান রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে ওই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর নিজের প্রাণ ও সম্মান বাঁচাতে ওই মহিলা গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেয়।
কার্শিয়াংয়ে কাকিমাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ভাইপোর বিরুদ্ধে আরও পড়ুন :মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা নাবালকের, বাধা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ
বর্তমানে ওই মহিলা আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্যাতিতার স্বামী বলেন, "তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে তা জানা যায়নি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল ৷ বাড়ি ফেরার জন্য সে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। একটি গাড়িতে উঠেও পড়ে ৷ তারপরই ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু গাড়িতে কে বা কারা ছিল তা এখনও জানা যায়নি।" নির্যাতিতার ভাই বলেন, "আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ পদক্ষেপ করছে।" কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনরঞ্জন ঘোষ বলেন, "অভিযোগ পাওয়া মাত্র শনিবার সকালে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পর্কে ওই মহিলার ভাইপো হয়। তাকে আদালতে তোলা হবে।"