শিলিগুড়ি, 4 মার্চ : পৌরভোটের আগে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের SJDA দুর্নীতির তদন্তের প্রসঙ্গ তুলে প্রচারে নামছে বামেরা । ওই সংস্থায় 200 কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তে এখনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি । একইসঙ্গে ওই সংস্থা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও শিলিগুড়ি থেকে কোনও জনপ্রতিনিধিকে সেখানে রাখা হয়নি । আজ এগুলো নিয়েও তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করেছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ।
পৌরভোটে SJDA দুর্নীতি হাতিয়ার অশোকদের - পৌরভোটে শিলিগুড়িতে বামেরা
পৌরভোটে শিলিগুড়িতে বামেদের হাতিয়ার SJDA-র 200 কোটির দুর্নীতি । অস্বস্তিতে তৃণমূল । যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতৃত্বের ।
আজ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "বাম আমলে যে সব শিল্প সংস্থাকে জমি দেওয়া হল, সরকার পরিবর্তনের পর সেই জমিগুলিতে প্রকল্প স্থাপন হল না । SJDA-তে 200 কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্ত প্রকাশ্যে এল না । কাওয়াখালিতে 200 একর জমি SJDA-র মাধ্যমে প্রথমে হিডকো এবং পরে হাত বদল হয়ে বেসরকারি সংস্থার হাতে গিয়েছে । কীভাবে , কেন ও কোন স্বার্থে উপনগরীর নামে ওই জমি হাতবদল হল তা জানতে চেয়ে পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছি আমি । সংস্থার নাম শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন সংস্থা । সংস্থায় শিলিগুড়ির কোনও প্রতিনিধি নেই কেন? আমি না হয় অন্য দলের তরফে বিজয়ী । অন্তত নিজেদের দলের কাউকে তো রাখতে পারতেন সেখানে । চেয়ারম্যান হিসেবে যাকে সংস্থায় বসিয়ে রাখা হয়েছে তিনিও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন । রাজনৈতিক স্বার্থে বিজয়চন্দ্র বর্মণকে SJDA-তে বসিয়ে রাখা হয়েছে । উন্নয়ন বলতে ঠিক কী বোঝায় তা চেয়ারম্যান বোঝেন না ।"
মেয়রের এই অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্বরা । তাদের দাবি, 200 কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্ত সরকার নয়, CID করছে । তাছাড়া, ইতিমধ্যেই ওই দুর্নীতিকাণ্ডে একাধিক ঠিকাদার ও আধিকারিক গ্রেপ্তারও হয়েছে । জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, "সরকারের আমলে শিলিগুড়িতে নানা উন্নয়নের কর্মকাণ্ড করেছে সরকার । সেসব চোখে পড়ছে না মেয়রের । তিনি শুধুই অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন ।"