শিলিগুড়ি, 24 জুন: টিউবারকিউলোসিসে আক্রান্ত বেঙ্গল সাফারি পার্কে সদ্য নিয়ে আসা একাধিক কৃষ্ণসার হরিণ বা ব্ল্যাক-বাক ডিয়ার! আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগে বনদফতরের আধিকারিকরা। ঘটনায় বেঙ্গল সাফারি পার্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে জামশেদপুর টাটা মেমোরিয়াল জুওলজিক্যাল পার্ক থেকে আনা হয় 12টি কৃষ্ণসার হরিণ ও চারটি হগ ডিয়ার। একমাস কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এপ্রিল মাসে সেগুলো পর্যটকদের জন্য সামনে আনেন। এবার সেই হরিণগুলোর মধ্যেই বেশ কয়েকটি কৃষ্ণসার হরিণ আক্রান্ত হয়েছে টিবিতে।
পাশাপাশি পার্কের চার বনকর্মী বা জু-কিপার ইনফেকশনজনিত রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি 14 দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে মাত্র চারমাসের মধ্যে কীভাবে ওই কৃষ্ণসার হরিণগুলি টিবিতে আক্রান্ত হল, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষও। আক্রান্ত হরিণগুলিকে এনক্লোজার থেকে সরিয়ে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে হরিণগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সন্দেহ হলে পার্কের আধিকারিকরা চারটি হরিণের নমুনা কলকাতার প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতরের গবেষণাগারে পাঠান।
শনিবারই চারটির মধ্যে দু'টো হরিণের নমুনায় টিউবারকিউলোসিস পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তবে টিবিতে আক্রান্ত হরিণগুলির চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষর অবহেলার কারণেই ওই সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। কারণ, বেঙ্গল সাফারি পার্কে কয়েক মাস ধরে কোনও বায়োলজিস্ট নেই। একমাস আগেই এক বায়োলজিস্ট ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। বায়োলজিস্ট ছাড়াই কীভাবে বেঙ্গল পার্ক চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।