শিলিগুড়ি, 6 ডিসেম্বর: উত্তরবঙ্গের একটি গ্রামের পানীয় জল সমস্যার কথা পৌঁছেছে হাইকোর্টে ৷ মামলাও চলছে ৷ আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন ৷ বিষয়টি কানে যেতেই ওই গ্রামে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোর জন্য দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
কার্শিয়াংয়ে ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়েতে যোগ দিতে বুধবার শিলিগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী । কলকাতা বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে সড়কপথে কার্শিয়াংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন । এর মধ্যে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেপদোল্লাজোতের পানীয় জলের সমস্যার কথা শুনে তিনি বলেন,"সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন । যার ফলে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করেনি । তবে এবার সমস্যা সমাধানের জন্য পিএইচই কাজ করছে । যতদিন প্রকল্পের কাজ না শেষ হচ্ছে ততদিন আমি শিলিগুড়ি পৌরনিগমকে বলেছি সেখানে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল পাঠানো হোক । আমি সমস্যার সমাধান করে দেব ।"
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি তথা পিএইচই দফতর ও মহকুমা পরিষদ সাড়ে তিন কোটি টাকার পানীয় জলের প্রকল্প গড়ার কাজ শুরু করেছে । জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে ।
প্রসঙ্গত, 2015 সালের 21 নভেম্বর দার্জিলিংয়ের তৎকালীন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া নকশালবাড়ি ব্লকের আদিবাসী আন্দোলনের রূপকার প্রয়াত কানু সান্যালের গ্রাম শেপদোল্লাজোতকে দত্তক নেন । অভিযোগ, দত্তক নেওয়ার পরেও ওই গ্রামে কোন উন্নয়নই হয়নি । এমনকি পানীয় জলের কষ্ট এতটাই রয়েছে যে গ্রামবাসীরা মাঞ্জা নদীর জল পানের জন্য ব্যবহার করেন । তা না হলে প্রায় আট কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল বয়ে নিয়ে আসতে হয় । সেই পানীয় জলের সমস্যা সম্প্রতি প্রকট হলে গ্রামবাসীরা চলতি বছরের মে মাসে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন । সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে । মামলার শুনানির সময় বিচারপতি গ্রামবাসীদের ডেকে তাদের সমস্যার কথা শোনেন । পাশাপাশি বুধবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের আধিকারিক ও বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার-সহ আধিকারিকদের ডেকে পাঠান । তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বুধবার জলের ট্যাঙ্কার পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷