কার্শিয়াং, 8 ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিয়ে হয়েছে কার্শিয়াংয়ের মেয়ের দীক্ষা ছেত্রীর ৷ এই বিয়ের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের রক্তের সম্পর্ক তৈরি হল বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ শুক্রবার কার্শিয়াংয়ের একটি প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি এই বিষয়টি উল্লেখ করেন ৷
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি...দীক্ষার সঙ্গে আমাদের বাড়ির ছেলের...দু’জনেই চিকিৎসক ৷ দু’জনের বিয়ে হয়েছে ৷ ওর বাবাও কার্শিয়াং পৌরসভার একজন কর্মী ৷’’
এর পরই তিনি পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের রক্তের সম্পর্কের বিষয়টি তোলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু বলবে ৷ কিন্তু আমি পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের একটা রক্তের সম্পর্ক তৈরি করে দিলাম, যা সারা জীবন একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে ৷’’
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে পাহাড়ে তাঁর নিজের একটা ঘর হোক, সেটা বারবার চেয়েছেন ৷ আর ভাইপোর বিয়ের মাধ্যমে সেটাই হল বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন ৷ তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমি পাহাড়ে চলে এলাম৷ আগে অনেকবার বলেছিলাম যে পাহাড়ে আমার একটা ঘর চাই ৷ দেখুন, ভগবান কীভাবে আমাকে একটা ঘর পাইয়ে দিল ৷ ভগবান একটা ঘর পাইয়ে দিল ৷’’
তবে একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন যে দার্জিলিং, কার্শিয়াং-সহ পাহাড়ের প্রতিটি মানুষকে তিনি আপনজন বলে মনে করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ের সব ঘরকে নিজের ঘর বলে মনে করি ৷ আপনারা ভালো থাকুন, শান্ত থাকুন, সুখী থাকুন৷ এর থেকে বেশি আর কিছু চাই না ৷’’
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আবেশ ৷ তিনি পেশায় চিকিৎসক৷ বৃহস্পতিবার কার্শিয়াং পৌরসভার কর্মী সুরেন ছেত্রীর মেয়ে দীক্ষা ছেত্রীর সঙ্গে বিয়ে হয় আবেশের ৷ দীক্ষাও পেশায় চিকিৎসক ৷ বিয়ের রিশেপশন হবে কলকাতায় ৷ তাই নবদম্পতি শুক্রবারই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৷
সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে দীক্ষার বাবা সুরেন ছেত্রীর সঙ্গে আজই তিনি দেখা করবেন ৷ কারণ, দীক্ষার মা নেই ৷ মেয়ে চলে যাওয়ার পর বাবা নিশ্চয় কষ্ট পাচ্ছেন, সেই কারণেই তিনি এই সময়ে সুরেন ছেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন:
- আবেশের বিয়েতে হাজির অভিষেক, নবদম্পতিকে আশীর্বাদ বরকর্তা ফিরহাদের
- পাহাড়ি সাজে মাথায় ঝুড়ি মমতার, শ্রমিকদের সঙ্গে চা-পাতা তুললেন মুখ্যমন্ত্রী
- উত্তরবঙ্গে 24 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বণিক সম্মেলনে