শিলিগুড়ি, 23 অগস্ট: অসমে ধৃত দুই কেএলও জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF of West Bengal Police) ৷ মঙ্গলবার ধৃত ওই দুই কেএলও জঙ্গিকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয় । এসটিএফের আবেদন মেনে বিচারক ওই দুই জঙ্গিকে 12 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই কেএলও জঙ্গি হল নির্মল দাস ও উত্তম রায় ।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেএলও প্রধান জীবন সিংহের (KLO chief Jiban Singh) সঙ্গে জঙ্গি নাশকতার একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিল ওই দুই জঙ্গি (KLO Terrorists) । ধৃতরা দু'জনেই অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা । প্রথমে ওই দু'জনই অসমে সক্রিয়ভাবে আক্রাসু সংগঠন করত । সেখান থেকে কেএলও'তে যোগ দেয় তারা । ধৃত ওই দু'জনের উত্তরবঙ্গে কেএলও সংক্রান্ত একাধিক যোগ সূত্র থাকায় তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এসটিএফ ।
আরও পড়ুন: ডেবরায় 2 যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার 7 যুবক
এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন উত্তরবঙ্গ থেকে অন্তত আট থেকে দশজনকে কেএলওতে ঢুকিয়েছিল । এমনকি উত্তরবঙ্গ-সহ নেপালেও তারা বেশ কয়েকমাস গা ঢাকা দিয়েছিল । ওই কয়েক মাসে তাদের কী কী কার্যকলাপ করেছিল ছিল এবং কাদেরকে জঙ্গি সংগঠনে ঢুকিয়েছিল তারা সেটাই এখন জানতে চাইছে এসটিএফ । অন্যদিকে, আদালত ও এসটিএফ-এর উত্তরবঙ্গ শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, 27 মে কেএলও'র ফরেন সেক্রেটারি পাভেল কোচ অসমের শেরফাংগুড়ির এক চাল ব্যবসায়ী সুনীল মণ্ডলের কাছে অস্ত্র কেনার জন্য দু'লক্ষ টাকার দাবি করেছিল । পাভেল কোচ বর্তমানে মায়ানমারের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে অনুমান । ওই ব্যবসায়ী তা দিতে মানা করলে 4 জুন ওই ব্যবসায়ীর দোকানেই গুলি করে খুন করেছিল উত্তম ও নির্মল ।
অসমে ধৃত দুই কেএলও জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিল এসটিএফ আরও পড়ুন: পিস্তল নিয়ে সারা গ্রামে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালানোয় গ্রেফতার এক
5 জুন অসম পুলিশ ওই 2 জনকে গ্রেফতার করে । এরপর কোকরাঝাড় জেলে তাদের পাঠানো হয় । সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে 2 কেএলও জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ । ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নির্মল ও উত্তমের নাম উঠে আসে । এরপরই তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয় এসটিএফ । এসটিএফের ডিএসপি (উত্তরবঙ্গ) সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "নির্মল মূলত বিভিন্ন জেলা থেকে কেএলও সংগঠনের জন্য লোক নিয়োগ করত এবং উত্তম সংগঠন পরিচালনা ও অস্ত্র কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা সংস্থার থেকে টাকা জোগার করত । উত্তরবঙ্গে ওই দুই কেএলও জঙ্গি চক্রের শিকর কতোটা ছড়িয়েছে তা জানতেই এবার ওই দু'জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।"