শিলিগুড়ি, 17 ডিসেম্বর: শিলিগুড়ি পৌরনিগমের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ শুধু তাই নয়,পৌরনিগমের রেকর্ড রুম সিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে শনিবার শিলিগুড়ির পৌর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়াকে ভরা এজলাসে বিচারপতির তীব্র ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে ৷ এই ঘটনায় সরগরম রাজনৈতিকমহল ৷ তবে এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ পৌর কর্তৃপক্ষ। আদালত বারবার বলার পরও পৌরনিগমের একটি ভবনের নকশা জমা দিতে পারেনি। এই ঘটনাতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বিচারপতির উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, সিআইডি তদন্ত করে কোনও লাভ হবে না ৷ ওটা মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সংগঠন ৷ সিবিআই তদন্ত হলে কিছুটা আশার আলো দেখা যেত ৷"
কেন এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ? শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের একটি বেসরকারি ভবনের ট্রাস্টের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা বাধে ৷ সেই ঝামেলা আদালত পর্যন্ত গড়ায় ৷ অভিযোগ, ট্রাস্টের প্রাক্তন সভাপতি অবৈধভাবে ভবনটি নির্মাণ করেছে ৷ পাশাপাশি ফায়ার লাইসেন্স পেতে যে নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করার কথা তাও মানা হয়নি ৷ এসব অভিযোগ তুলে বর্তমান ট্রাস্টের সদস্যরা প্রাক্তন ট্রাস্টের সভাপতি ও সদস্যদের বিরুদ্ধে সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন ৷
11 ডিসেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হয় ৷ শুনানির সময় বর্তমান ট্রাস্টের সদস্যরা জানান, 2014 সালে তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর ভবনের ব্লুপ্রিন্ট ছাড়া আর কোনও নথি ছিল না ৷ এরপরই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আদালত, শিলিগুড়ি পৌরনিগমকে ওই ভবনের প্ল্যান সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু 12 ডিসেম্বর পৌর কর্তৃপক্ষ কোনও প্ল্যান জমা দিতে পারেনি ৷ বিচারক ফের পৌর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়াকে 13 ডিসেম্বর প্ল্যান নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু পৌর কমিশনার প্ল্যান ছাড়াই বিচারকের সামনে হাজির হন ৷