গ্যাংটক, 17 জুন: উত্তর সিকিমে টানা বৃষ্টির জেরে একদিকে ধস অন্যদিকে হড়পা বানে আটকে পড়া প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটকদের অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা। শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়-সহ উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টিপাত জেরে সমস্যায় পড়েছেন বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। শনিবারও রাস্তার উপর দিয়ে বইছে নদী। কার্যত বিচ্ছিন্ন লাচেন, লাচুং। শনিবারও সারাদিন চলে উদ্ধারকাজ ৷
তিনদিন টানা বৃষ্টির জেরে পেগংয়ে 10 নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে ৷ হরপা বানের জেরে বিপর্যস্ত বিভিন্ন এলাকা ৷ রাজধানী গ্যাংটকের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিম। লাচুং, লাচেন, পেগং, ছাঙ্গু, টুং, সংমো, চুংথাংয়ে আটকে পরেছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটক।
পর্যটকদের উদ্ধার ভারতীয় সেনার খবর পাওয়া মাত্র সিকিম সরকার যোগাযোগ করে ভারতীয় সেনার সঙ্গে। ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কর্পস, স্ট্রাইকিং লায়ন, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন শুক্রবার রাতেই অভিযানে নামে। আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
সেখানেই আটকে থাকা পর্যটকদের খাওয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ৷ প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়। এরপর শনিবার সকাল থেকে ফের অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। চুংথাং সেতু হড়পা বানে ভেঙে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। সেজন্য প্রথমে দু'হাজার পর্যটকদের অস্থায়ী সেতু ও রোপওয়ে বানিয়ে নদীর অপর পারে পাঠানো হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত ওই উদ্ধার কাজ চলে।
এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার কর্নেল অঞ্জন কুমার বাসুমাতারি বলেন, "প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি বছরে প্রায় আট হাজার পর্যটককে আমরা উদ্ধার করেছি। শনিবার রাতের মধ্যে পর্যটকদের দফায় দফায় গ্যাংটকে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় সেনা।"
নতুন করে ওই এলাকায় কাউকে যেতে বারণ করা হয়েছে আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে কালিম্পঙে হড়পা বান-ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি, দায়ী সেবক-রংপো রেল প্রকল্প ?
প্রসঙ্গত, নতুন করে ওই এলাকায় কাউকে যেতে বারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া আরও খারাপ হলে আর যদি কোনও পর্যটক আটকে থাকেন তাঁদের এয়ার লিফটের চিন্তা ভাবনা করে রেখেছে প্রশাসন। সেই কারণে সেনা ও বায়ুসেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে কোনও জীবনহানি হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷