শিলিগুড়ি, 27 জানুয়ারি: ফের সরগরম শৈলরানির রাজনীতি । এবার জিটিএ (GTA) বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha) । শুক্রবার সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে দলের তরফ থেকে । শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি । তাঁর দাবি, "জিটিএ গোর্খাদের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল । কিন্তু এতবছরেও তা কোনোভাবেই গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ করেনি । সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"
উল্লেখ্য, 2011 সালের 18 জুলাই শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে কেন্দ্র, রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল । তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, দার্জিলিংয়ের তৎকালীন সাংসদ যশবন্ত সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে ওই চুক্তি হয় ও গঠিত হয় জিটিএ । পরবর্তীতে এই জিটিএ চুক্তি আইনে পরিবর্তিত হয়ে যায় । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ওই সই প্রত্যাহার কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
যদিও রোশন বলেন, "আমরা আমাদের সই প্রত্যাহারের মাধ্যমে সমর্থন উঠিয়ে নিলাম । এরপরে আগামীতে জিটিএ-এর ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে ।" চুক্তি থেকে সমর্থন ও সই প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে মোর্চার তরফে ।
আর মোর্চার ওই সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়টি চাউর হতেই জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে । যদিও এদিন রোশন গিরির অভিযোগ, "আমরা পরবর্তীতে পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সে কোনোরকম অশান্তি, আন্দোলন করব না । আমাদের আন্দোলন হবে দিল্লিমুখি । আমরা জিটিএ-র জন্য 396টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলাম । কিন্তু মাত্র পাঁচটি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল । বাদ দেওয়া হয়েছে তরাই, ডুয়ার্সকে । এসবের জন্যই আমরা সমর্থন প্রত্যাহার করলাম ৷"