শিলিগুড়ি, 2 অক্টোবর: রোজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে অশান্তি করতেন ছেলে বলে অভিযোগ । শেষে অতিষ্ঠ হয়ে কুড়ুল দিয়ে ছেলের গলা কেটে খুন করলেন বাবা ৷ এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কুটানু সোবারকে (49) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের নিশ্চিন্দপুর চা বাগান এলাকায় । ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে ।
মৃতের নাম বিশাল সোবার ৷ বয়স 30 বছর ৷ কুড়াল দিয়ে তাঁর মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুটানু সোবারের বিরুদ্ধে । ঘটনার পরই অভিযুক্তকে বাবাকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার পুলিশ । ধৃতকে সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শুভেন্দ্র কুমার বলেন, "অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে বিশাল সোবার কোন কাজ করতেন না । বাবা কুটানু সোবারই কাজ করে সংসার চালাতেন । তিনি নিশ্চিন্দপুর চা বাগানে শ্রমিক । অভিযোগ, ছেলে বিশাল রোজ রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে অশান্তি করতেন । এমনকী মদ খাওয়ার টাকা না পেলে বাড়ি ভাঙচুর করতো। এর জেরে রোজই বাড়িতে অশান্তি হত । রবিবার মাঝরাতেও মদ্যপ অবস্থায় বিশাল সোবার বাড়িতে অশান্তি করেন বলে অভিযোগ । পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে বাবার সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ান ছেলে । বচসা থেকে পরিস্থিতি হাতাহাতি গড়ায় ।
আরও পড়ুন:স্ত্রী'কে গলা কেটে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী! চাঞ্চল্য খড়দায়
অভিযোগ, সেই সময় উঠানে রাখা কুড়ুল দিয়ে কুটানু সোবার ছেলের গলায় সজোরে কোপ বসান । ঘটনাস্থলেই মাথা ধর থেকে আলাদা হয়ে যায় বিশালের ৷ রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে পরে মাটিতে । বাড়ির লোকের চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন । তারা পুলিশে খবর দেয় । মাটিগাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ৷ এরপর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় দেহটি । পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন কুটানু সোবার ৷ এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ আধিকারিকরা ।