শিলিগুড়ি, 26 সেপ্টেম্বর: জাল ওষুধে ছেয়ে গিয়েছে বাজার । আর তাতেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল । শুধু তাই নয়, শিলিগুড়িকে করিডর করে উত্তরবঙ্গ-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে যাচ্ছে জাল ওষুধ । আর এর থেকে রেহাই পেতে এবং নিম্নমান বা জাল ওষুধের কারবার বন্ধ করতে অবিলম্বে শিলিগুড়িতে একটি গবেষণাগার তৈরির দাবি উঠেছে । এই দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিচ্ছে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ।
সংগঠন সূত্রে খবর, প্রতিবছর 20 থেকে 30 কোটি টাকার জাল ওষুধ বাজারে ঢুকছে ৷ পাশাপাশি তা গোপনপথে পাচার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ-সহ সিকিম, অসম ও অন্যান্য উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে । জানা গিয়েছে, এই জাল ওষুধগুলি এতোটাই নিঁখুতভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে সহজে প্যাকেট দেখে চেনার উপায় নেই । সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক ওষুধের দোকানের কর্মী বা ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত ধরতে পারছেন না যে সেগুলি জাল ওষুধ । তবে এতে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের ।
জাল ওষুধের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজ্যে একটি ল্যাবেরটরি রয়েছে কলকাতায় । ফলে গোটা রাজ্য থেকে নমুনা যাওয়ায় তার রিপোর্ট আসতে বছর ঘুরে যাচ্ছে । তবে সব ওষুধ জাল হচ্ছে না । প্রতিদিনকার ব্যবহারের ওষুধ জাল করা হচ্ছে । সেই জাল ওষুধ নামী সংস্থার মোরকে বাজারে ছাড়া হচ্ছে । অন্যদিকে, অনেক ওষুধের মান নিম্নমানের । খরচ কমাতে নিম্নমানের ওষুধ বানিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে । ফলে সেই ওষুধও ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়া আটকানো অসম্ভব । অথচ এই কারবার বন্ধ না হলে মানুষের জীবনে আরও ঝুঁকির নেমে আসবে ।